জুম্মার নামাজে মুসল্লি কম, বুকফাটা কান্না

15

স্টাফ রিপোর্টার :

নগর ও শহরতলীর মসজিদগুলোতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুম্মার নামাজে মুসল্লির সমাগম একটু কম হয়েছে।

প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই জুম্মার ফরজ নামাজের আগের ও পরের সুন্নত নামাজ ঘরেই আদায় করে নিয়েছেন। শুধু খুতবা ও ফরজ নামাজের সময়টুকুই মসজিদে ছিলেন।

মুসল্লিরা অনেকেই ঘর থেকে অজু সেরে জায়নামাজ নিয়ে ও মাস্ক পরে মসজিদে গিয়েছেন। নগর এবং শহরতলীর বেশ কয়েকটি মসজিদের চিত্র ছিলো এমন। তবে গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে মুসল্লি সমাগম স্বাভাবিক ছিলো বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, পবিত্র জুম্মার নামাজ জামাআতে আদায় করতে সিলেটে মুসল্লিদের মসজিদে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সচেতনতার স্বার্থে একই মসজিদে সবাইকে না যেতে এবং সুন্নত নামাজ বাড়িতে পড়ার পরামর্শ দেয় প্রশাসন।

এছাড়া ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’র আওতায় ব্যক্তি মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. মেজবাহ উদ্দিন এ বিষযে আজ সকালে বলেন, মসজিদে যেতে মুসল্লিদের প্রতি কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে সুন্নত নামাজ বাড়িতে পড়ে যাওয়াই ভালো এবং (মুসলমানদের মধ্যে) যারা ‘হোম কোয়ারেন্টিনের’ আওতায় আছেন তাদের প্রতি বিশেষ পরামর্শ হলো- তারা যেন বাড়িতেই নামাজ পড়ে নেন।

এদিকে, জুম্মার ফরজ নামাজ শেষে প্রতিটি মসজিদে ইমামের পরিচালনায় মুনাজাতের মধ্য দিয়ে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। মোনাজাতকালে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হওয়া এই চরম সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তের উত্তরণ কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুল প্রার্থণা করেন। এই রোগে ইতোমধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মাগফেরাত ও আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা কমনা করে কান্নাভেজা কণ্ঠে দোআ করেন মুসল্লিরা।

এ সময় প্রতিটি ‘আমিন আমিন’ ধ্বনি কান্নার আওয়াজে কেঁপে উঠে সিলেটের প্রতিটি মসজিদ।