লোভাছড়া কোয়ারিতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়

8

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে কোয়ারি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। জানা যায় অভিযানকালে সাউদগ্রামের ফারুক আহমদের বসত বাড়ীর উঠানে ২টি ফেলুডার ও একটি স্কেবেটর রাখার অপরাধে ভাংচুর করা হয়। পরে ফারুক আহমদের ছেলে কানাইঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ বাশার আহমদকে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানের নির্দেশে আটক করে বিকেলে তার কার্যালয়ে নিয়া আসা হয়। সেখানে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, ধারা ৬(ঙ) এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০, ধারা ৪(ছ)আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বারিউল করিম খান বাশার আহমদকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেন। টাস্কফোর্সের অভিযান কালে বিভিন্ন পাথরের গর্তে থাকা পানি সেচের কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ২০/২৫ মেশিন ও লক্ষাধিক টাকার প্লাষ্টিকের পাইপ ধ্বংস করা হয়। মোবাইল কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে বাশার আহমদ জানিয়েছেন তার বাড়ীর উঠানে রাখা তাদের পরিবারের নষ্ট ফেলুডার ও গোয়াইনঘাট উপজেলার মোঃ শাহপরান নামের এক ব্যক্তির ১টি স্কেবেটর ও ১টি ফেলুডার প্রায় সপ্তাহ দিন থেকে ফেলে রাখা ছিল। অভিযানের সময় আমার বাবা ফারুক আহমদ কানাইঘাট সদরে ছিলেন আমি ছিলাম মূলাগুল বাজারে। হঠাৎ করে আইন শৃংখলা বাহিনী আমার বাড়ীতে প্রবেশ করতে দেখে আমি সেখানে যাওয়ার পর আমাকে আটক করা হয়। এছাড়াও বাশার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে আমার বাড়ীতে অচল ফেলুডার, স্কেবেটর রাখার দায়ে অভিযান কালে তা ভাংচুর এবং আমাকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অথচ কোয়ারি এলাকার বিভিন্ন গর্তে অভিযানকালে প্রকাশ্যে অসংখ্য ফেলুডার স্কেবেটর দিয়ে কাজ করা হয়। স্থানীয় সচেতন মহল কোয়ারিতে টাস্কফোর্সের অভিযানকে স্বাগত জানালেও সাউদগ্রাম ও বড়গ্রাম এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে এবং কোয়ারি এলাকায় প্রভাবশালীদের অনেক ফেলুডার, স্কেবেটর দিয়ে দিনে এবং রাতের বেলা পাথর উত্তোলনের গর্তের কাজ করা হচ্ছে। এসব ফেলুডার, স্কেবেটরের বিরুদ্ধে জোড়ালো অভিযান পরিচালনা সহ যে সব পাথর ব্যবসায়ী ইজারার শর্ত লঙ্গন করে কোয়ারি এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিরোধী তা-ব চালিয়ে বিশাল বিশাল গভীর গর্ত করেছে সেই সব পাথরের গর্ত বন্ধ সহ তাদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস্তব কোন ধরনের আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পাথর খেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ইজারার শর্ত অমান্য করে যারা পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইজারাদারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকার পরও গভীর গভীর গর্তগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান জানিয়েছেন কোয়ারিতে নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ইজারার শর্ত অমান্য করে যান্ত্রিক বাহন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকালকের অভিযানে ফেলুডার ও স্কেবেটর রাখার অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাশার আহমদকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ধ্বংস করা হয়েছে।