সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটি ॥ সিলেট ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শিগগির

16

সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএমসিসিআই)- এর উদ্যোগে সিলেটের শাহী ঈদগাহ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপি সিলেট ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।
মেলা আয়োজনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মেলা মাঠের প্রস্তুুতি কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই মেলা উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
উদ্বোধনের দিনক্ষণ পরবর্তিতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সিলেটবাসীকে জানানো হবে।
বুধবার বিকেলে নগরীর জেলরোডে আনন্দ টাওয়ারে এসএমসিসিআইয়ের কনফারেন্সরুমে বাণিজ্য মেলা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাণিজ্য মেলার আহবায়ক ও এসএমসিসিআই’র ১ম সহ-সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এসএমসিসিআই’র সভাপতি আফজাল রশীদ চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে মেলার আহবায়ক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও শাহী ঈদগাহ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মেলা আয়োজনের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বাণিজ্যমেলা শুরু করতে যাচ্ছে।
এবারের বাণিজ্যমেলায় মোট স্টল সংখ্যা থাকবে ১২০টি এবং মোট প্যাভিলিয়য়ন ১৭ টি, ফরেন জোন ২টি, ফুডকোর্ট ২টি, মৃৎশিল্প জোন-১, টেক্সটাইল জোন ৪টি এবং সিলেটের স্থানীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তা এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য চেম্বার জোনে রেয়াতিমূল্যে কিছু স্টল থাকবে। মেলা মাঠের বেশ কিছু অংশ শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকবে একটি অত্যাধুনিক শিশুপার্ক। যেখানে নিত্য নতুন বিভিন্ন ইভেন্ট থাকবে।
শফিউল আলম নাদেল আরোও বলেন, এবারই প্রথম প্রতিবন্ধী শিশুদের বিশেষ পাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যা দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুরা মাঠে প্রবেশ এবং বিনোদনের সব রাইড বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবে। এছাড়া মুজিব শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মেলা মাঠ প্রাঙ্গণে থাকবে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। মেলায় থাকবে মিডিয়া সেন্টার। এছাড়াও থাকবে একটি সিকিউরিটি ক্যাম্প। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশী থাকবে নিজস্ব সিকিউরিটি এবং ভলেন্টিয়ার গ্রুপ। এবং পুরো মাঠ জুড়ে থাকবে প্রায় ৩২টি সিকিউরিটি ক্যামেরা। এবং প্রবেশ গেইটে আর্চওয়ে গেইট থাকবে ২টি। মাঠে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা আশা করছি ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি থাকবে। মহিলা ও পুরুষের জন্য থাকবে আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থা। থাকবে মহিলা ও পুরুষের আলাদা নামাজের স্থান। এবং বিশুদ্ধ পানীয় ব্যবস্থা। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের পাশাপাশি থাকবে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর ব্যবস্থা। এ ছাড়া মাঠের ভিতরে সাজসজ্জা থাকবে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে পুরোমাঠ জুড়ে ইট বিছানো হয়েছে। এবং পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, ইতোমধ্যে মেলা মাঠের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পররাষ্ট্র ড. এ কে এ মোমেন এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপির সাথে আলোচনা করে শিগগিরই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। অনেক কোম্পানী তাদের প্যাভিলিয়ানের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফরেন জোনে ইতোমধ্যে ভারত, ইরান, কাশ্মীর এবং পাকিস্থান তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে আশা নিশ্চিত করেছে। মেলাকে আকর্ষনীয় ও উপভোগ্য করতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রবেশ টিকিটের উপর তিন পর্যায়ে রাখা হবে আকর্ষনীয় পুরস্কার। মেলার বাহিরে কোনোভাবেই টিকিট বিক্রি করা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- এসএমসিসিআই’র সহ-সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন, সাবেক সভাপতি হাসিন আহমদ, সাবেক ১ম সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, সাবেক সহ-সভাপতি হুরায়রা ইফতার হোসেন, পরিচালক মো. মুহিতুল বারী রহমান জিয়াউল গণী আরিফীন, সুমেয়াত নুরী চৌধুরী জুয়েল, মাসুদ জামান, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, মো. ইলিয়াছুর রহমান, রাজীব ভৌমিক, অজয় ধর, আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী, শান্তনু নত্ত শন্তু, মো. আব্দুর রহমান রিপন, শাহ আলম, মো. শাব্বির আহমদ চৌধুরী, মো. মাহমুদুর রহমান, প্রাক্তণ পরিচালক মাহমুদ বকস রাজন, কাজী মকবুল হোসেন, এসএমসিসিআই এর সদস্য-আবু আহমেদ সিদ্দিকী খছরু, ফয়েজ আহমদ চৌধুরী, শেখর দে, মো. সাইফুর রহমান রহমান, মো. ইমরান আহমদ, মো. আব্দুল কাদির, মো. জহির হোসেন, মো. জয়নাল আহমেদ, মো. মঈনুল ইসলাম মঈন, অরুপ রায়, ওজাইর আলম, আব্দুল লতিফ রিপন মো. জুমাদিন আহমদ, আব্দুল গাফ্ফার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি