পহেলা ফাল্গুনে ভালোবাসার ছোঁয়ায় মধুর বসন্ত উৎসব

13

স্টাফ রিপোর্টার :
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে, মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এই গানের মতই ভালোবাসাকে সাথে নিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে মধুর বসন্ত। গতকাল শুক্রবার ছিল পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের আগমনে কোকিল কণ্ঠে আসবে সুর। গাছে গাছে থাকবে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতি সাজবে নতুনরূপে। জেগে উঠবে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া।
১৪ ফেব্্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ভ্যালেন্টাইন ডে। ভালোবাসার প্রত্যয়কে চিরঞ্জীব করে রাখতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ভালোবাসার এই দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকে। বাংলাদেশে ২৭ বছর আগে এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের সূচনা। আজকের এই দিনে মুঠোফোনে খুদে বার্তা, ই-মেইল কিংবা ফেসবুকে জানান দেওয়া হয় ভালোবাসার কথা। প্রিয়জনকে দেওয়া হয় নানা উপহার।
বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত ঋতু। বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে শীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। বসন্তের প্রথম দিনে তরুণ-তরুণীরা নিজেকে রাঙিয়ে তোলে বাসন্তী রঙে। তাদের গায়ের বাসন্তী রঙে ছেয়ে যায় রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, সবুজ চত্বর। পুরো দেশেই চলে উৎসবের আমেজ। গায়ে হলুদ আর বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি-শাড়ি জড়িয়ে তরুণ-তরুণীরা এদিন নিজেদের রঙিন সাজে সাজান। বসন্ত তাই তারুণ্যের ঋতু।
বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন’ বা ‘বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবের মাঝে এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত। মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই বসন্ত উৎসব। ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন শুরু হয়। পহেলা ফাল্গুনকে উপলক্ষ করে সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, সিলেটের বিভিন্ন সংগঠন গতকাল নানা আয়োজনে বরণ করে নেয় ঋতুরাজ বসন্তকে। বসন্তের প্রকৃতি বর্ণনা ও বন্দনা করা ছাড়াও এসব অনুষ্ঠানে বাঙালির জীবনে বসন্তের প্রভাব নানা ব্যঞ্জনা ফুটিয়ে তোলা হয়।