তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা ॥ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এর নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রবে

6
সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্মরণ সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
“মরণ সাগর পারে তুমি অমর তোমাকে স্মরি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতি জাতীয় প্রেসক্লাব এ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভা এর আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি, নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এমপি, অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি, এ কে.এম. শাহজাহান কামাল এমপি, মহিবুর রহমান মানিক এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, আব্দুল মজিদ খান এমপি, গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এডভোকেট আমিন উদ্দিন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি ইউ এম আশেক। সুজাত আহমেদ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুনামগঞ্জ সমিতি ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কনিজ রেহেনুমা রব্বানী ভাষা। অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মরণে ফজলে রাব্বি স্মরণ এর লেখা ও সুরে গান পরিবেশন করেন সুনামগঞ্জের শিল্পী পাগল হাসান। এছাড়াও জাতীয় নেতৃবৃন্দ, সুনামগঞ্জ সমিতি ঢাকা এর নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য জীবন ও সংগ্রাম তুলে ধরেন। অনেকেই সেনগুপ্তের সাথে পথচলার অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান, অনলবর্ষী বক্তা, সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ভাটি বাংলার প্রিয় ব্যক্তিটি আপামর মানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন। ইতিহাসের সন্তান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর অন্যতম প্রণেতা। জাতীয় রাজনীতির প্রতিটি বাঁক বদলে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। প্রবীণ এ সাংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। এছাড়াও তিনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্র“য়ারি ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে ৭১ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।