সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ॥ শাবির সমাবর্তন আজ, বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস গ্র্যাজুয়েটদের

35

মাসুদ আল রাজী শাবি থেকে :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন আজ (৮ জানুয়ারি)। গতকাল থেকেই সমাবর্তনকে ঘিরে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। গ্রাজুয়েটদের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। নানান ভঙ্গিতে ছবি তোলাসহ সাবেক ও বর্তমানদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন তারা। কেউ বা নীল আকাশে এক ঝাঁক হ্যাট ছুড়ে দিচ্ছেন, আবার সেই হ্যাট ধরতে আকাশে লাফ দিচ্ছেন। এ যেন নীল আকাশকে ছোয়ার চেষ্টা। মনে হচ্ছে মুক্ত আকাশের শূন্যে ভাসছেন সবাই।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা নানা রঙের পোশাক পরে ক্যা¤পাসের বিভিন্ন স্থানে গল্পগুজব, খাওয়া-দাওয়া ও ফটোসেশনে মেতে উঠেছেন। তরুণ-তরুণীদের কারও কারও সঙ্গে তাদের বাবা-মা, ভাই-বোনদেরও ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্রাজুয়েটদেরকে কস্টিউম, গিফট ও আমন্ত্রণপত্র বিতরণের পর এমন দৃশ্য প্রতীয়মান হচ্ছে সারা ক্যা¤পাস জুড়ে।
ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন করতে নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় স¤পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রাজুয়েটদের বরণ করে নিতে এরই মধ্যে বর্ণিল রূপে সাজানো হয়েছে পুরো ক্যা¤পাস। ক্যা¤পাসের অভ্যন্তরে রাস্তা মেরামতকরাসহ গোলচত্ত্বরের পুন:নির্মাণ করে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ স¤পন্ন করা হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, নানান ডিজাইনের গেটসহ সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞাতার্থে বিভিন্ন তথ্য সংবলিত নির্দেশিকা ক্যা¤পাসের বিভিন্ন জায়গায় টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সমাবর্তনের আনন্দ-আবেশকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। ফলে সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যা¤পাসের আনাচে-কানাচে যেন বইছে উৎসবের আমেজ। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও প্রস্তুতি প্রায় স¤পন্ন। দিনরাত কাজ চলছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ১৭ টি উপ-কমিটি নিরন্তর প্রচেষ্টা করছে স্ব-স্ব কমিটির কার্যাদি স¤পন্ন করতে। এছাড়াও সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যা¤পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আরও ৫০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে ক্যা¤পাসে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, এসএসএফ (¯েপশাল সিকিউরিটি ফোর্স), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্কবস্থানে রয়েছেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তৈরি করছেন একটি দেয়ালচিত্র, যা একই সঙ্গে বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামকে তুলে ধরছে। তাঁদের দাবি, এটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘দেয়ালচিত্র’।
ক্যা¤পাসের ‘চেতনা একাত্তর’ ভাস্কর্যের পাশে মিনি মিলনায়তনের পশ্চিমমুখী দেয়ালে এ ‘দেয়ালচিত্র’ তৈরি করা হয়েছে। এখানে একই সঙ্গে ভাষা আন্দোলন স্থান পাবে। এই দেয়াল চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কৃষক, শ্রমিক ও আপামর সাধারণ জনতা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শিক্ষার্থীদের হাতে কলম তুলে দিচ্ছে, তুলে দিচ্ছে বইখাতা। যাতে এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তাদের কথা বলে, তাদের জীবনসংগ্রামের সহযোগী হয়ে হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যা মানুষের জীবন সংগ্রামের সাথে ছাত্রদের একাত্মতার ইতিহাস, আমাদের সেটাই মনে করিয়ে দেয়। দেয়ালচিত্রটির নকশা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ধ্র“ব চন্দ্র রায়। তবে এখন পর্যন্ত দেয়ালচিত্রটির নাম দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে এই দেয়ালচিত্রটির অঙ্কন হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
সূত্রমতে জানা যায়, এবারের সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে স্নাতক ৪ হাজার ৬১৭ জন, øাতকোত্তর ১ হাজার ১২৭ জন, পিএইচডি ২ জন, এমবিবিএস ৮৭৮ জন, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ৬ জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নøাতকোত্তরে ৮ শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এছাড়াও ২য় সমাবর্তনে বাকি থাকা ৫টি স্বর্ণপদকও এই সমাবর্তনে প্রদান করা হবে। এ নিয়ে মোট ২০টি রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।
স্নাতক পর্যায়ের স্বর্ণপদক জয়ীরা হলেন (৯৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী) ১৯৯৩-৯৪ সেশনের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, ১৯৯৫-৯৬ সেশনের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জহিরুল হক, ১৯৯৬-৯৭ সেশনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নুর উদ্দিন আহমেদ, ১৯৯৭-৯৮ সেশনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লা আল মামুন, একই সেশনের ক¤িপউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার ইবনে বাসিত।
এ ছাড়া ২০০১-০২ সেশনের ক¤িপউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন, ২০০২-০৩ সেশনের একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা, ২০০৩-০৪ সেশনের একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আখতার হোসাইন, ২০০৫-০৬ সেশনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিমরিকা থাপা, ২০০৬-০৭ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত রায় ও ২০০৮-০৯ সেশনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বিলাল উদ্দিন।
স্নাতকোত্তরে স্বর্ণপদক বিজয়ীরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০০২-০৩ সেশনের শিক্ষার্থী সৈয়দ মো. খালেদ রহমান, ২০০৩-০৪ সেশনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুর রহমান, ২০০৪-০৫ সেশনের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুবর্ণা সরকার রুপা, ২০০৫-০৬ সেশনের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবদুল হালিম, ২০০৬-০৭ সেশনের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনক সমাদ্দার, একই বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. তফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, ২০০৮-০৯ সেশনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাবেদ ফয়সাল, একই বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হযরত আলী ও ২০১০-১১ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত রায়।
সমাবর্তনে নিবন্ধনকৃত গ্রাজুয়েটদের মুল সনদপত্র বিতরণ হবে সমাবর্তনের দিন ৮ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে সমাবর্তনে অংশগ্রহণকৃত গ্রাজুয়েটদেরকে মূল সনদপত্র বিতরণ করা হবে। সমাবর্তনে নিবন্ধনকৃত গ্রাজুয়েটদের সুবিধার্থে আগামী বৃহ¯পতিবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পযন্ত ও ৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের নির্ধারিত কক্ষ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া মূল সনদপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই সাময়িক সনদপত্র জমা দিতে হবে, অন্যথায় মূল সনদপত্র দেওয়া হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রশাসনিক ভবন-১ এর ৩০৪ নং কক্ষ থেকে মুল সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া অর্থনীতি বিভাগ, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগ আইআইসিটি ভবনের গ্যালারি-১, পলিটিক্যাল স্টাডিজ ও লোকপ্রশাসন বিভাগ একই ভবনের গ্যালারি-২ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
নৃবিজ্ঞান ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ১২৯ নং কক্ষ, সমাজকর্ম, জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি ও আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১৩১ নং কক্ষ, পরিসংখ্যান, রসায়ন, ক¤িপউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ৩২৯ নং কক্ষ থেকে মুল সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৩৩১ নং কক্ষ, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৩৩৬ নং কক্ষ , কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, ব্যাবসায় প্রশাসন ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪২৯ নং কক্ষ থেকে মুল সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষার্থীরা, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা একই ভবনের ৪৩১ নং কক্ষ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, সিলেট নার্সিং কলেজ, বেগম রাবেয়া খাতুন নার্সিং কলেজ, নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের একই ভবনের ৪৩৬ নং কক্ষ থেকে মূল সনদপত্র বিতরণ করা হবে।
এছাড়া, সমাবর্তনের সময় সকল প্রকার গ্যাস সিলিন্ডারযুক্ত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সমাবর্তনে অংশ নেবেন এমন গ্রাজুয়েটদের ১টা ৪৫ মিনিট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের বেলা আড়াইটার মধ্যে সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করতে হবে। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্রাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ব্যতিত অন্য কোনো রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যা¤পাস প্রাঙ্গনে গ্রাজুয়েটদের ব্যক্তিগত গাড়ি আনতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ‘৩য় সমাবর্তন ২০২০’ স্টিকার যুক্ত গাড়িগুলো শুধুমাত্র ক্যা¤পাসে প্রবেশ ও পার্কিং করার সুযোগ পাবে। সমাবর্তনের দিন গ্রাজুয়েটরা তাদের অতিথি নিয়ে আসতে পারবেন। তবে অতিথিদের সমাবর্তনেরমূল অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে (২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ) একাডেমিক ভবন-ই ও আইআইসিটি ভবনে অবস্থান করতে হবে। এছাড়া গ্রাজুয়েটদের খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে ক্যাফেটেরিয়া ও মেডিকেল সেন্টার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানস্থলে মোবাইল ফোন, হাত ব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ছাতা, পানির বোতল ও অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী সালমা খন্দকার বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল স্বপ্নের ক্যা¤পাস। এখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কতশত স্মৃতি। পড়াশোনা শেষ করে এখন স্বীকৃতির পালা। এ এক পরম পাওয়া। এ অর্জনে আমার সঙ্গে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরাও।’
সমাবর্তনে নিজের আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে পিএসএ বিভাগের ২০০২-০৩ সেশনের ছাত্র ইমরান আহমেদ বলেন, সমাবর্তনের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সেটা স¤পন্ন করতে যাচ্ছে। এ জন্য স্যারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আশাকরি প্রতিবছর সমাবর্তন নিয়মিত রেখে যাবেন এই প্রত্যাশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এফইটি বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের সাবেক ছাত্র ও একই বিভাগের বর্তমান সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ একযুগ পর ক্যা¤পাসের সিনিয়র জুনিয়র সবার সাথে একইসাথে ধূসর অতীতকে পুনরুজ্জীবিত করবে এই আয়োজন। এই ক্যা¤পাসেরই একজন সাবেক ছাত্র ও বর্তমান শিক্ষক হিসেবে এ মহাযজ্ঞের সাক্ষী হতে মুখিয়ে আছি। দীর্ঘ বিরতির পর হলেও এই আয়োজনে আমাদের উৎসাহে কোন ভাটা-তো পড়বেই না বরং অনেকদিন পর ক্যা¤পাসে প্রাণের সঞ্চার হবে বলেই আমার বিশ্বাস!
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমাবর্তনের সকল কাজ ঠিকঠাক ভাবে স¤পন্নের পথে আমরা। কোন কাজে পিছিয়ে নেই। সামনে বাকি কাজ শেষ করে সুষ্ঠুভাবে সমাবর্তন শেষ করতে পারবো।আগামী বছরের শেষদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে এবং পর থেকে নিয়মিত সমাবর্তন হবে বলে জানান তিনি।