দুবাই প্রবাসীরাও অনলাইনে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার পাশাপাশি এবার দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসীরা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামীকাল সোমবার থেকে তারা এই কার্যক্রমের আওতায় আসছেন। মালয়েশিয়ার মতো দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসীরাও অনলাইনের মাধমে তারা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও দুবাইয়ে বাংলাদেশী দূতাবাসে একটি ডেস্ক খোলা হচ্ছে। সেখানে একটি টিম এই কার্যক্রমে সহায়তা করবেন বলে জানা গেছে।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রায় ১ কোটি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দেশের বাইরে অবস্থানের কারণে ভোটারযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও এসব নাগরিক ভোটার হতে পারেননি। ফলে নির্বাচনের সময় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান ইসি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আইন সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রথমেই ইসির পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করে। এবার দ্বিতীয় দফায় সোমবার থেকে দুবাইয়ে অবস্থিত প্রবাসীরা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এই তালিকায় সৌদি আরব, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরতরাও সুযোগটি পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবাসীরা অনলাইনে (ংবারপবং.হরফ.িমড়া.নফ) সাইটে গিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। গত ৫ নভেম্বর এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেন, প্রায় ৯০ লাখ ভোটারযোগ্য বাংলাদেশী নাগরিক প্রবাসী রয়েছেন। অধিকাংশের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। ফলে তারা ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি। এ অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ, ভোটার হিসেবে নিবন্ধন প্রদান এবং ডাকযোগ পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়া নির্বাচন কমিশনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক হিসাব খোলা, বিবাহ, সম্পত্তি ক্রয়বিক্রয়, পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকাও আবশ্যক করা হয়েছে। সে কারণে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবি জানান। সেই আলোকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য পরিচয়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রবাসীরা অনলাইনে ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে বিদেশে বসেই আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত আবেদনসমূহের প্রদত্ত ঠিকানার ভিত্তিতে উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে সরেজমিনে যাচাইবাছাই করা হবে।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবাসীদের ভোটার হতে অনলাইনে ৮টি তথ্য দিতে হবে। সেগুলো হলো পিতামাতার নাম ইংরেজী ও বাংলায়, বসবাসরত দেশের নাম, জিপকোড, বাসা ও হোল্ডিং নম্বর, স্টেট বা প্রদেশ, ফোন নম্বর, শনাক্তকারী ব্যক্তির নাম প্রভৃতি। এছাড়াও এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশী পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোন আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।