কাশ্মীর ইস্যুতে জলঘোলার চেষ্টা হলে আইনি ব্যবস্থা – র‌্যাব মহাপরিচালক

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কাশ্মীর ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়, আর এ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো ধরনের জল ঘোলা না করতে সতর্ক করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বলেছেন, এমনটি করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ‘ঈদে নিরাপত্তা’ নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র‌্যাব প্রধান।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে বেনজীর বলেন, ‘আমরা আশা করব ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বা কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আমার দেশের পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। এরপরও যদি কেউ সে চেষ্টা করে তবে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
‘যেটি আমাদের দেশের সমস্যা নয়, বিষয়ও নয়, সেটি নিয়ে আমার দেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে, অযাচিতভাবে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে অবশ্যই কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
‘তবেআল্ট্রা ইসলামিষ্ট এর সংখ্যা বাংলাদেশে বেশি না। যারা রয়েছে তারাও আমাদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রয়েছে।’
র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (সিও) হাসিনুর রহমানকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার বিষয়েও কথা বলেন র‌্যাব ডিজি।
পরিবারের পক্ষ থেকে গত বুধবার এ বিষয়ে পল্লবী থানায় জিডি করা হয়। হাসিনুর এক সময় র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বিজিবিতেও বেশকিছু দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
হাসিনুরকে খুঁজে বের করার বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চাইলে র‌্যাব প্রধান বলেন, ‘অনেক মানুষকেই তো খুঁজে পাওয়া যায় না। খুঁজে না পাওয়াটা শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকা, বৃটেন, ইউরোপেও মানুষ নিখোঁজ হয়। একজনকে খুঁজে না পাওয়াটা কোনো বাহিনীর ব্যর্থতা নয়।’
‘আমাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা জ্ঞাত আছি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। যদি কারো কাছে কোনো তথ্য থাকে তাহলে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।
‘ঈদ নির্বিঘ্ন করতে তৎপর র‌্যাব’
র‌্যাব ডিজি বলেন, সারাদেশে ১৮ হাজার গরুর হাট বসেছে। সেখানে সাড়ে পাঁচশ গুরত্বপূর্ণ হাট আছে। এসব হাটে এক কোটির বেশি পশু আমদানি হয়। হাসিলের পরিসংখ্যানে ঢাকা শহরে প্রায় পাঁচ লাখ গরু কোরাবানি হয়। হাটগুলোতে নির্বিঘ্নে ব্যাপারিরা পশু নিয়ে আসতে পারে, গরু বিক্রি করতে পারে এই জন্য অজ্ঞান পার্টি-জাল টাকা প্রতিরোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকালও আমরা অজ্ঞান পার্টি-মলম পার্টিকে গ্রেপ্তার করেছি। গরুর হাট কেন্দ্রিক সব অপরাধ বন্ধে আমরা তৎপর ও নজর রাখছি।
বেনজীর বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বাস-লঞ্চ টার্মিনালে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধক ক্যাম্প স্থাপন করেছি। যারা রাজধানী ছাড়ছেন যেখানে যেখানে সম্ভব মশার স্প্রে ও ওডোমস দিচ্ছি। বাড়ি যারা যাচ্ছেন সবাই খেয়াল রাখবেন ডেঙ্গু আক্রান্ত যেন না হন। র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিটে একজন করে ডেঙ্গু প্রিভেনশন অফিসার নিয়োগ দিয়েছি। যাতে আমাদের সদস্যরা সতর্ক থাকে, আক্রান্ত না হয়। তারা প্রতিদিন কাজ করছে। আবার র‌্যাব সদস্যরাও পরিবারের সদস্যদেরও নির্দেশনা দেবে। অনুরোধ করব সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। যারা ডেঙ্গু ও অফিসের নিরাপত্তা দেখভাল করবে। তাহলে দ্রুত ডেঙ্গু থেকে আমরা মুক্তি পাবো। যারা বাড়িতে যাচ্ছেন তারা খেয়াল রাখবেন বাড়িতে যেন পানি না জমে থাকে। আপনার অনুপস্থিতিতে যাতে মশার সৃষ্টি না হয়।