চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ॥ অতি-দরিদ্রদের তালিকা করে সাহায্য করুন

19

স্টাফ রিপোর্টার :
অতি-দরিদ্রদের তালিকা করে তাদের সাহায্যে বিত্তবান ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শুক্রবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের ৪১ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদানের ১০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। এছাড়া ৭১টি পরিবারকে ১ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী ৫ বছরের মধ্যে অতি-দারিদ্র্য দূর করতে চায়। কেউ যেন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। মন্ত্রী ৪১ জন ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক অনুদানের ১০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। এছাড়া ৭১টি পরিবারকে ১ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। আগামীতে মাছের পোনা ও গাছের চারা বিতরণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে এদেশে কোনো ব্যক্তি গৃহহীন থাকবে না।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা সরকারের জন্য বিরাট চিন্তার বিষয়। এদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য সবধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, দেশ এবং বিদেশে যারা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানে সহযোগিতা করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুসুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমেদ আল কবীর, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ।
এদিকে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় নব গঠিত কমিটির (২০১৯-২০) সেশনের বর্ণিল অভিষেক অনুষ্ঠান গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট চেম্বার এর হলরুমে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সিলেট সম্প্রীতির শহর। সকল দল ও মতের মানুষ এক কাতারে বসে আলোচনা করেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসনে বসা বর্তমান ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পাশাপাশি বসার দৃশ্য দেখিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই সম্প্রীতির দৃশ্য শুধু সিলেটেই দেখা যায়।
অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন অভিষেক উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুল বাতিন ফয়সল। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন নব নির্বাচিত সভাপতি মামুন হাসান।
সংগঠনের সিনিয়ন সহ সভাপতি মো. দুলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস এর যৌথ পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন, গীতা পাঠ করেন সিদ্ধ মাধব দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অভিষেক উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শেখ আশরাফুল আলম নাছির।
অভিষেক অনুষ্ঠানে ড. মোমেন ফটো সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও সরকারের ভাল কাজের উন্নয়ন চিত্র আরো ভালভাবে তুলে আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকার অনেক বড় বড় উন্নয়ন কাজ করছে কিন্তু সব চিত্র সংবাদ মাধ্যমে আসছেনা। বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে ফটো সাংবাদিকরা আসেন। দক্ষতা উন্নয়নে বিদেশী ফটো সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হয়ে কিভাবে দক্ষতা উন্নয়ন করা যায় আপনারা উদ্যোগ নিলে আমি সহযোগিতা করবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ফটো সাংবাদিকদের মিলনমেলায় শরীক হতে পেরে ভালা লাগার কথা জানিয়ে নব গঠিত কমিটির উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এসএমপির এডিসি মিডিয়া জেদান আল মুসা, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আজাদ, কেমুসাস সহ সভাপতি ও গল্পকার সেলিম আউয়াল, সিলেট প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম.এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ইমজা সিলেটের সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির, সিলেট বিভাগ গনদাবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওয়েছ খসরু, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মুহিত দিদার, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা সহ সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব পুরকায়স্থ, ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আফতাব উদ্দিন, বর্তমান সহ সভাপতি শাহ মো. কয়েস আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আশকার আমীন লস্কর রাব্বী, এইচ এম রফিকুল ইসলাম সুজন, শাহীন আহমদ, সদস্য জাবেদ আহমদ, আনিস রহমান, ইকবাল মুন্সি, ফয়সল আহমদ মুন্না, আব্দুল মুমিন ইমরান, সুব্রত দাস, শিপন আহমদ, রতœা আহমদ তামান্না, রেজা রুবেল, এইচএম শহিদুল ইসলাম, আবু বকর, প্রমুখ।
অভিষেক অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের প্রয়াত পাঁচ ফটো সাংবাদিককে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন মন্ত্রী আব্দুল মোমেন। প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিক হলেন, হবিগঞ্জের ইকবাল আহমদ হাসনু, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, সিলেটের কুমার গনেশ পাল, সিএম মারুফ, ইকবাল মনসুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিদায়ী সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতিন ফয়সলকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠান শেষে নব গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, এসএমপির এডিসি মিডিয়া জেদান আল মুসা ও সিলেট উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. আলী আহমদসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।