বন্যার প্রভাবে শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি

22

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট ও সিলেটের বাহিরের বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে নগরীতে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বন্যার এই অজুহাত দেখিয়ে শাক-সবজির দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সরেজমিনে নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার প্রভাব বেশী পড়েছে কাঁচাবাজারে। হঠাৎ করেই বেড়েছে কাঁচামরিচ, করলা, টমেটো, বরবটি ও শসাসহ বিভিন্ন সবজির দাম। এছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামও আরও বাড়ছে। তাছাড়া মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি।
খুচরা বাজারে গত সপ্তাহজুড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকাল সোমবার রাতে কাঁচামরিচের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। বাজারে শসার দামও বাড়তি। প্রতি কেজি শসা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতি কেজি ৬০টাকা, মুকি ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, পিয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, করলা ও বরবটির কেজি ৮০ টাকা এবং টমেটো কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঢেঁড়স, পটোল, ঝিঙ্গা ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যার কারণে কাঁচামরিচ ও সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে যাচ্ছে। বন্যার প্রভাবে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বাড়তে থাকবে। তবে বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই গত কয়েক সপ্তাহ পেঁয়াজ, রসুন ও আদা কিনতে চড়া দাম দিতে হচ্ছে। একই সময় কয়েক জেলায় বন্যা থাকার অজুহাত দেখিয়ে কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারের খরচ বেড়ে গেছে অনেক।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার ১৯০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি। আকারভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। এ সপ্তাহে গরুর মাংস বাজারভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। ছাগলের মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে স্বল্প আয়ের মানুষের। তাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়- হঠাৎ করেই বন্যার অজুহাতে সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।