পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে জানালেন মেয়র ও কাউন্সিলররা ॥ অর্থাভাবে আটকে আছে সিলেট সিটি কপোরেশনের উন্নয়ন কাজ

42
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি- রেজা রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার :
অর্থাভাবে আটকে আছে সিলেট সিটি কপোরেশনের উন্নয়ন কাজ। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতি ভালোই উপলব্ধি করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা। গত মেয়াদে সিসিকে ঢালাওভাবে কাজ করিয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে আপসহীন থাকায় টাকা পেতেও বেগ পেতে হয়নি।
কিন্তু নতুন মেয়াদে বরাদ্দ পাওয়া এমনকি পুরাতন বরাদ্দের টাকা ছাড়িয়ে আনতে কি পরিমাণ বেগ পেতে হচ্ছে, তা এখন অকপটে প্রকাশ করলেন নগরপিতা আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার নগরভবনে এক মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এসব কথা তুলে ধরে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে দেওয়া বরাদ্দের টাকাতেই সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সিসিকের উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়। উপরন্তু আগের বরাদ্দকৃত টাকাগুলো ছাড়িয়ে আনতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে অর্থাভাবে নগরীর উন্নয়ন কাজ আটকে আছে। চিহ্নিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
সভায় সিসিক কাউন্সিলররা বলেন, আমরা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যাগুলোর সমাধান করি, মানুষের দাবি-দাওয়া পূরণ করি। এর সুফল পান স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সিটি মেয়র। বিগত সিটি করপোরেশন ও সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু নতুন মেয়াদে গেলো ৯ মাস নিজেদের ওয়ার্ডের কোনো বরাদ্দ পাননি, কাজও করাতে পারেননি তারা। এতে জনগণের কাছে তাদের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। মেয়রের কাছে এলে বরাদ্দ নেই, ফান্ড আসেনি বলে ফিরিয়ে দেন। এ মেয়াদে জনগণের আস্থার প্রতিদান দিতে এসব সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন কাউন্সিলররা।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজকের সভার মাধ্যমে আমি সিটি করপোরেশনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হলাম। অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো। সিলেটের উন্নয়নের জন্য আমাকে যেখানে ব্যবহার করা প্রয়োজন করবেন, প্রয়োজনে মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সচিব বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।