বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে – জেলা প্রশাসক

28
সিলেট জেলা রেজিষ্ট্রারের উদ্যোগে আয়োজিত বাল্যবিবাহ বন্ধ ও নিরোধকল্পে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।

সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, বাল্যবিয়ে সমাজের জন্য অভিশাপ। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দিলে তারা নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হয়। অল্প বয়সে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক মায়ের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, সরকার মেয়েদের সাবলম্বী করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একদিন বাল্যবিয়ে চিরতরে মুক্তি পাবে। এজন্য বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাল্যবিবাহ বন্ধ ও নিরোধকল্পে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা রেজিস্ট্রারের উদ্যোগে এবং বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার সমিতি সিলেট জেলার সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সিলেট জেলা জেলা রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিন ভূঞার সভাপতিত্বে ও বালাগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. আবুল হোসেনের সঞ্জালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা মেজিস্টেট মো. নাসির উল্লাহ খান।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফেঞ্চুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার মিনহাজুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা সাব রেজিস্ট্রার আয়শা সিদ্দিকা, কোম্পানীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার কাইয়ূম মজুমদার, তাজপুর সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউনুস, জকিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার নাসিমুল আরিফ, জৈন্তাপুর সাব রেজিস্ট্রার মো. হাফিজুর রহমান।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জয়নুল ইসলাম মুনিম, সিলেট বিভাগীয় ম্যারিজ রেজিস্ট্রার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাজী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. আব্দুল জলিল খান, সিলেট ম্যারিজ রেজিস্ট্রার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল হাসিব ভূইয়া, হিন্দু নিবন্ধন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনুজ কান্তি ভট্টাচার্য মান্না, ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী বদরুদ্দোজা, মাস্টার কাজী আব্দুল মান্নান, কাজী আব্দুস সবুর, কাজী জালাল উদ্দিন, কাজী বদরুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি