ভারতীয় তীর শিলং খেলার সামগ্রীসহ ১১ জুয়াড়ি আটক ॥ ১৩ মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

44
শিলং তীর জুয়া খেলার অপরাধে আটক জুয়াড়ীরা।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর লালদীঘিরপার থেকে ভারতীয় তীর শিলং খেলার সামগ্রীসহ ১১ জুয়াড়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার ভোররাতে নতুন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদকসেবীকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে র‌্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমান আদালত।
পুলিশের আটককৃতরা হচ্ছে- কাস্টঘরের শ্যামল মদক (৪৫), ছড়ারপারের মোবারক হোসেন (১৮), আকিল হোসেন (২৫), শিবগঞ্জের শংকর চন্দ্র দে (৩০), কদমতলীর কৃষ্ণ ঋষি (২৮), সোবহানীঘাট চালিবন্দরের আকিল হোসেন (২৫), জকিগঞ্জের ফারুক আহমদ (২৪), মাছিমপুরের জাহাঙ্গীর (২৫), ছড়ারপারের তাজুল ইসলাম (২৮), কাজলশাহের কামাল আহমেদ (৬০), নগরীর কালিঘাট কামালঘরের শরীফ (২৫) ও লালদিঘিরপাড়ের আলী আমজাদ (৪৫)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের জুয়ার বোর্ডের মালিক সাইফুল কৌশলে পালিয়ে যায়। এ মার্কেটে বহুদিন ধরে জমজমাট ‘তীর শিলং’ খেলা চালিয়ে আসছিল এ চক্রটি।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানা প্রকাশ্য জুয়া আইনে গতকাল সোমবার মামলা (নং-৩৪) দায়ের হয়েছে। এছাড়া বোর্ডের মালিক সাইফুলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চক্রের মূলহোতাদের চিহ্নিত করে তাদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
১৩ মাদকসেবীকে কারাদন্ড ও জরিমানা: নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদকসেবীকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে র‌্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমান আদালত।
গত শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-১ (সিলেট ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল অতি. পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার এএসপি নাহিদ হাসানসহ এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ গ্রাম গাঁজাসহ ১৩ মাদক সেবনকারীকে আটক করে র‌্যাব।
আটককৃতদের প্রত্যেককে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং সর্বমোট ১২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাদকসেবীরা হল- মোঃ সুমন মিয়া (২৫), আব্দুল কাদির (৩০), রনি আহমেদ (২৮), শাহীন আহম্মদ (২৮), আব্দুল ওয়াহিদ (৩৫), মনি রায় (২৭), মোঃ ইউনুস (২৫), সুমন মিয়া (৩০), মোঃ মুমিন মিয়া (৩০), ফিরোজ মিয়া (১৯), মোঃ আসকর আলী (৩০), সুমন দাস (২০) ও জামিল আহমদ (২০)।
গতকাল সোমবার র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার মো. মনিরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানান। উদ্ধারকৃত আলামত ধ্বংস এবং সাজাপ্রাপ্ত মাদকসেবীদেরকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ ও জরিমানাকৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।