ওসমানী বিমানবন্দর সড়কে প্রাইভেটকার-সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে ছাত্রীসহ আহত ৭

91
ওসমানী বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি গাড়ি ও আহতদের মধ্যে কয়েকজন। ছবি- রেজা রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট আন্তর্জাতিক ওসমানী বিমানবন্দর সড়কে প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ও স্কুল ছাত্রীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাগীব আলী ফ্যাক্টরীর সামনে এ দুঘর্টনাটি ঘটে।
ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রীকে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে নগরীর ইবনে-সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার অরুন কান্তি দের কন্যা ও সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রী অনন্যা দে (১৮), হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা অমরেশ দত্তের পুত্র ও অনন্যা দের প্রেমিক কলেজ ছাত্র তন্ময় দত্ত (২০), এয়ারপোর্ট থানার ১০তলা বিল্ডিংয়ের ফরিদ মিয়া কন্যা স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট কার যাত্রী সাকেরা বেগম (১৫), এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা গ্রামের পাখি মিয়ার পুত্র (সিলেট-থ-১২-২২৯৪) নং সিএনজি আটোরিক্সা চালক দিলা মিয়া ( ৩০), একই থানার সফিক মিয়ার পুত্র (ঢাকামেট্রো-চ-১৭-১৩৮৩) নং প্রাইভেট কার চালক সুহেল (২৫)। তাৎক্ষণিকভাবে অপর আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এয়াপোর্ট এলাকা থেকে শহরমুখী (ঢাকামেট্রো-চ-১৭-১৩৮৩) নং প্রাইভেট কার একটি প্রাইভেট কারের সাথে বিপরীত দিকে থেকে আসা (সিলেট-থ-১২-২২৯৪) নং সিএনজি আটোরিক্সা সিএনজি অটোরিক্সা সরাসরি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএজি অটোরিক্সার যাত্রী ও এমসি কলেজ ছাত্রী অনন্যা দে ও তন্ময় দত্ত, গাড়ী চালক এবং প্রাইভেট কারে থাকা স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সাকেরাসহ ৭ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এমসি কলেজের ছাত্রীকে নগরীর ইবনে-সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া দু’টি গাড়ী উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, আহত কলেজ ছাত্র তন্ময় দত্ত বড়লেখা থেকে সিলেট এসে (সিলেট-থ-১২-২২৯৪) নং সিএনজি আটোরিক্সা ভাড়া করে অনন্যা দেকে নিয়ে ঘুরতে ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র (ঢাকামেট্রো-চ-১৭-১৩৮৩) নং প্রাইভেট কারে থাকা স্কুল ছাত্রী সাকেরা বেগম প্রাইভেট পড়তে শহরের দিকে আসছিলো।