কানাইঘাট থানার পাশে দু’টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত

55
কানাইঘাটে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত দোকানের মালামাল চুরির দৃশ্য।

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট থানার আশপাশ এলাকায় সম্প্রতি কয়েকটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা অত্যন্ত কৌশল অবলম্বন করে থানার আশপাশ এলাকায় অবস্থিত দোকানপাটের সাটারের তালা অভিনব পন্থায় ভেঙ্গে দোকানের মালামাল ও টাকা পয়সা নিয়ে নির্বিঘেœ নিয়ে যাচ্ছে যা একটি প্রাইভেট কোম্পানির সিসি ক্যামেয় চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার গভীর রাতে থানার পশ্চিম পাশে দুটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরেরা দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার কানাইঘাট প্রতিনিধি শাহীন আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাহাত লোড কর্ণারের সাটারের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মোবাইলের রিচার্জ কার্ড এবং নুরুল আম্বিয়া ক্লথ ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জাকারিয়া আহমদের দোকানের একই ভাবে তালা ভেঙ্গে অনুমানিক সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার কাপড় নিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে কানাইঘাটের কর্মরত সাংবাদিকরা থানার পশ্চিম পাশে সইফা ভিলায় অবস্থিত ইরাম ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানের নিজেস্ব সিসি ক্যামেরা সার্চ করে দেখতে পান ৬ জন যুবক একটি মিনি ট্রাক নিয়ে থানার পাশে রাত ২ টায় অবস্থান নেয়। এরপর থেকে তারা পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে। একপর্যায় রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সুযোগ বুঝে রাহাত লোড কর্ণারের তালা ভেঙ্গে হানা দেয়। পরে তারা নুরুল আম্বিয়া ক্লথ ষ্টোরের সামনের সাটারের তালা ভেঙ্গে দীর্ঘ ১ ঘন্টা নির্বিঘেœ চুরি করে দোকানের দামী কাপড় বস্থায় ঢোকাতে থাকে। এরপর তাদের সাথে থাকা মিনি ট্রাক দিয়ে এসব কাপড় চুরি করে নিয়ে গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়। চুরির ঘটনা সিসি ক্যামেরায় দেখে অনেকে হতবাক হয়েছেন। থানার পাশে অবস্থিত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমন চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আম্বিয়া ক্লথ ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জাকারিয়া আহমদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় গত মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির প্রায় ২ সাপ্তাহ পূর্বে পাশাপাশি অবস্থিত নাদিয়া এন্ড সাদিয়া ভেরাইটিজ ষ্টোরে হানা দিয়ে চোরেরা প্রায় ৫ লক্ষ এবং মাসখানিক পূর্বে একই রোডের আলিশা কসমেটিক্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্টানে দুই দফায় হানা দিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও আল রিয়াদ কমিনিউটি সেন্টারের পাশের আরো ২/৩ টি দোকানে চুরির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নুনু মিয়া জানিয়েছেন। এদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পৌরসভার মহেষপুর গ্রামের আলিম উদ্দিন নামের এক যুবককে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাকে চুরির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে থানার এসআই সনজিত কুমার রায় জানিয়েছেন।