জৈন্তাপুরে গ্যাস সিলিন্ডার কারাখানা সিলগালা, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

22
জৈন্তাপুরে জব্দকৃত গ্যাস সিলিন্ডার সমূহ গণনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুনতাসির হাসান পলাশ।
জৈন্তাপুরে জব্দকৃত গ্যাস সিলিন্ডার সমূহ গণনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুনতাসির হাসান পলাশ।

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে অবৈধ ভাবে গ্যাস রিফিলিংয়ের দায়ে কারখানার মালিক ফজর আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা যায়, জাফলং মামার বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রইজ এর মালিক জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা গ্রামের আব্দুল মালিক উরফে ঠান্ডা মালিকের ছেলে ফজর আলী (৪৫) দীর্ঘদিন গ্যাস, চুলা, সিলিন্ডার এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বিগত প্রায় ৪ মাস যাবত জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি এলাকার নির্জন পরিবেশে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের পরিত্যক্ত জায়গা দখল করে একটি গ্যাস রিফিলিং কারখানা চালু করে। সিলেট শহর হতে গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে আসে। কারখানায় বসে ১২ কেজির সিলিন্ডার হতে গ্যাস রিফিলিং করে ৬ কেজিতে রূপান্তর করে আসছে। সিলিন্ডার গুলো জাফলং এলাকার বিশেষ করে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা জাফলং মামার বাজার, বল্লাঘাট, সোনাটিলা, নয়াবস্তি সহ আস-পাশ এলাকায় সরবরাহ করে আসছে।
গত ২১ অক্টোবর রবিবার বিকাল ৩টায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হয়ে কারখানাটি দেখতে পায়। ঘরে রক্ষিত নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় অসাধূ ব্যবসায়ী ফজর আলী গ্যাস রিফিলিং এর কার্যক্রম দেখেতে পায়। এসব নতুন-পুরাতন ১৩৬টি গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় এবং ফজর আলীকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসেন।
২২ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির হয়ে ফজর আলী নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালত সিলিন্ডার কারখানাটি সিলগালা করে দিয়ে এবং ফজর আলীকে নগদ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান পরিচালনা করে ১৩৬টি সিলিন্ডার জব্দ করি। তার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ফজর আলীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।