ধোপাদীঘিরপারে দখল হওয়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

23
নগরীর ধোপাদীঘিরপার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
নগরীর ধোপাদীঘিরপার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ধোপাদীঘিরপার দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। গতকাল রবিবার সকাল থেকে দখল করা অবৈধ এ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বেশ কয়েকদিন আগে এ এলাকার অবৈধ দখলদারদের মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নোটিশ দেয়ার পর রবিবার সিটি কর্পোরেশন এ উচ্ছেদ অভিযানে নামে।
সিটি কর্পোরেশন জানায়, নগরীর ধোপাদীঘির পূর্ব পার দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ভূমিখেকো চক্রের দ্বারা দখল হয়ে আসছিল। শুধু ধোপাদীঘিরপারই নয়, দীঘির বিশাল অংশও ভোগ দখল করে আছে এই চক্র। এমনকি তারা দীঘি এবং সরকারি জায়গার উপর ছোট-বড় বিল্ডিং ও দোকানপাট তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিষয়টি নজরে আসলে গত নির্বাচনের আগে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও দখলদাররা জায়গা ছাড়েনি। অভিযানে অবৈধ দখলদারদের সময় দেয়ার পরও যারা মালামাল সরাননি তাদের অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মহানগরবাসীর আশা প্রত্যাশা পূরণের জন্য নগরবাসী আমাকে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এ কারণে আমার কাছে নগরবাসীর আসা-প্রত্যাশা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। নগরবাসীর আশা-প্রত্যাশা পূরণ করতেই কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। মেয়র বলেন, একটি আধুনিক ও নতুন সিলেট গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। তবেই কাক্সিক্ষত মহানগর উপহার দেয়া সম্ভব।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই আধুনিক ও নতুন সিলেট গড়ে তুলতে কাজ শুরুর লক্ষেই এ অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে মেয়র জানান, উচ্ছেদ হওয়া জায়গার উপর ভারতীয় হাইকমিশনার সহযোগিতায় ধোপাদীঘিকে খনন করে এর পাশে ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যে ধোপাদীঘি খননের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।