বাহুবলে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় মামলা, শ্বশুর গ্রেফতার

12

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বাহুবল উপজেলায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে (২২) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাহুবল মডেল থানায় দেবর জানে আলমকে প্রধান আসামি করে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা রুনা আক্তার।
বুধবার রাতে (২৫ নভেম্বর) তিনি এই মামলা দায়ের করেন। এর পরই অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভূগলী গ্রাম থেকে মামলার ২নং আসামি শ্বশুর হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২২) সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে ২২ মাসের একটি পুত্রসন্তান। সুখেই যাচ্ছিল তানিয়ার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুন্দরী তানিয়ার ওপর দৃষ্টি পড়ে দেবর জানে আলমের। তানিয়াকে প্রায়ই সে উত্ত্যক্ত করত। তানিয়া শ্বশুর-শাশুড়িকে বিষয়টি বারবার জানালেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। জানে আলমের স্ত্রীকেও বিষয়টি জানায় তানিয়া।
এ নিয়ে জানে আলমের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়াও হয়। স্ত্রী নিষেধ করলেও তার নিষেধ মানেনি জানে আলম। একপর্যায়ে জানে আলমের ঘর ছাড়ে তার স্ত্রী। বিষয়টি ছড়িয়ে পরে পুরো গ্রামে। এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জানে আলম। বিচার দেয়ার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া উঠে সে।
গত রবিবার দিবাগত রাতে দরজার লক ভেঙে তানিয়ার রুমে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জানে আলম। একপর্যায়ে তানিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
রাতে তানিয়ার ছোট ভাই তানভীরকে ফোন দেয় জানে আলম। ফোন দিয়ে বলে, তার স্ত্রী অসুস্থ একটি অটোরিক্সা নিয়ে আসতে। অটোরিক্সা নিয়ে জানে আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী নয় তানভীরের বোন অসুস্থ অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। পরে তাকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিষপান করেছে বলে ভর্তি করায় তানিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এদিকে সোমবার ভোরে সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে গলাটিপে হত্যা করে জানে আলম ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। র‌্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এসআই মনির বলেন, উপজেরার ভূগলী গ্রাম থেকে নিহতের শ্বশুর হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।