ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে হবে -পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

47

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বাঙালির জাতীয়তার ইতিহাস চিরায়ত অসাম্প্রদায়িকতার এক অবিনাশী গল্প। হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মকে নিয়ে আর কোনো রাজনীতি করা চলবে না। আমাদের জাতীয় জীবনে যখনই ঘনিয়ে এসেছে অমানিশার কালো ছায়া, বিপন্ন করতে চেয়েছে আমাদের সম্প্রীতির সাজানো বাগান, আমরা জেগে উঠেছি। তাদের প্রতিহত করেছি, সৃষ্টি করেছি নতুন ইতিহাসের।
সুতরাং এদেশে রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তা আমরা শান্তির বাণী দিয়ে প্রতিহত করবো।
শনিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌর মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহবায়ক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সময়ে এসেছে ১৯৫২, ৫৪, ৬৯ আর ৭১-এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক নরমাংসভুক হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেয়ার। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস মিলন আর সম্প্রীতির ইতিহাস। ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার এখানে স্থান নেই।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে সমাজের সর্বস্তরের ঐক্য প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ধর্ম যার যার বাংলাদেশ আমার। এই বোধ নতুন করে ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক সৌমিত্র দেব’র সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ঝুমুর রায়’র সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টু, ড. সাজেদুল আওয়াল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম, সিআইপি মহসিন আলী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন, নাট্যকার খালেদ চৌধুরী, সংগঠক আবু তাহের, শিক্ষিকা বিপ্লবী রাণী দে, রণজিৎ সিনহা, মনু থিয়েটারের সভাপতি আসম সালেহ সুহেল, প্রফেসর সৈয়দ মুজিব প্রমুখ।