দক্ষিণ সুরমায় দুই কিশোরের উপর বর্বর নির্যাতন

80

দুই কিশোরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও পরে চোর অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে তাদের অবস্থা খুবই আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন আহত কিশোর আল ইমরানের চাচা মো. মাছুম আলী।
জানা যায়, সিলেট নগরীর কাজীটুলা থেকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের হকিয়ার চর গ্রামের আল ইমরান ও মোল্লারবন গ্রামের ইমরান আহমদকে আল ইমরানের বাড়ির পাশ থেকে মুখে কাপড় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে তুলে নিয়ে যায় ঐ এলাকার কিছু সন্ত্রাসী। এরপর তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।
তাদের শরীরে পেরেক ঠুকিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। তাদের চোখ বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে পেরেক ঠুকে দেয়া হয়। শরীরে প্রতিটি অঙ্গে লাঠি ও অস্ত্রের আঘাত পাওয়া যায়। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অকথ্য নির্যাতনে আধমরা অবস্থায় হয়ে গেলে তাদেরকে চোর অপবাদ দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল বলেন, নির্যাতন করা হয়েছে একথা সত্য। তবে কি কারণে তাদের উপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে তিনি স্পষ্ট জানে না। নির্যাতনের পর পুলিশের কাছে তুলে দিলে আমি তাদের আমার জিম্মায় ছাড়িয়ে এনেছি।
এ বিষয়ে লালাবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রহিম জানান, এই দুই কিশোর চোর নয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে অমানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল জানান, দুই কিশোরকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ করা হলে তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। (খবর সংবাদদাতার)