জামালগঞ্জে চাহিদার তুলনায় সংগ্রহ কম, পানির দামে ধান বিক্রয়

65

নিজাম নুর জামালগঞ্জ থেকে :
টানা দুইবার ফসল হারিয়ে কৃষকরা এবার সোনালী ধান গোলায় তুলেছেন। দুই বছর ফসল না পাওয়ায় কৃষকেরা দার দেনা করে জমিতে ফসল ফলিয়েছেন।আর এই ধান ন্যায্যমূল্য না পেলে পানির দরে বিক্রি করতে হবে কৃষকদের।
অনেক কৃষক দার দেনা পরিশোধ করতে কম মুল্যে ধান বিক্রয় করছেন। উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় লোকশান গুণছেন তারা।
কৃষকগণ অনেকটা নিরুপায় হয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকার চলতি বোর মৌসুমে ধান সংগ্রহের ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর ধান ক্রয় না করায় হতাশায় ভুগছেন কৃষকগণ। সময় অতিবাহিত হচ্ছে এরপরও ধান সংগ্রহ শুরু না হওয়ায় সঠিক মূল্যে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কৃষকেরা। আর সংগ্রহ বরাদ্দ কম থাকায় কৃষকগণ তাদের ধান গুদামে ঢুকাতে পারবেন কি না তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে আছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বোর মৌসুমে ২৩ হাজার ৪ শত ৭০হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। যা লক্ষ মাত্রার ছেয়ে কিছুটা কম।আর ফলন ভাল হওয়ায় এসব জমিতে ধান উৎপন্ন হয়েছে ২ লাখ মে:টন।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সাচনা খাদ্য গুদামে ৬ শত মে: টন ধান সংগ্রহ করা হবে। চাল সংগ্রহ করা হবে ৭৮১ মে: টন। ধান সংগ্রহের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি কেজী ধান ২৬ হারে, প্রতিমণের দাম ১হাজার ৪০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চালের মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৭ টাকা হারে, যা প্রতি ৫০ কেজি বস্তার মূল্যে হবে ১৮শত ৫০ টাকা। ইতিমধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য উপজেলার খাদ্য বিভাগের রেজিস্ট্রারকৃত ৩৫টি অটো রাইছ মিল কে চাহিদা পত্র দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কবে নাগাদ ধান সংগ্রহ করা হবে তা জানা যায়নি।তবে আগামী সপ্তাহ নাগাদ সংগ্রহ অভিযান শুরুর সম্ভবনা রয়েছে। আর যে পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হবে তা কৃষকের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। গেল বারের ধান সংগ্রহের সময়ে উপজেলায় ৩ হাজার ৫শত মে: টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা এ বছরের সংগ্রহের ছেয়ে ৫ গুণ বেশী ছিল। কিন্তু এ বছর কৃষকের বাম্পার ফলন হওয়া সত্বেয় সরকার কেন এত কম পরিমাণ ধান সংগ্রহ করছে তা কাহারো বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, সরকার নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে ধান চাল সংগ্রহ করা হবে। সাচনা খাদ্যগুদামে কৃষকের চাহিদার তুলনায় সংগ্রহের অপ্রতুলতা রয়েছে স্বীকার করে বলেন, উপজেলা কমিটির সিদ্বান্তের প্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহ থেকে আশা করি সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারব।