জলাবন রাতারগুল নিয়ে সরকার মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ——–জেলা প্রশাসক

53

সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেছেন জলাবন রাতারগুল নিয়ে সরকার মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতি মধ্যে এখানে নৌকা ঘাট সহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে। বনের জমি উদ্ধার চলছে। উদ্ধারকৃত জমিতে নতুন করে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। কোন ক্রমেই বনের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। আর এজন্য সবাইকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরো বলেন রাতারগুল শুধু সিলেট বা বাংলাদেশ নয় এটি এখন পৃথিবীর একটি সম্পদ। এ বন রক্ষায় সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এলাকাবাসীই এই বনের অন্যতম রক্ষক। তিনি বনের সৌন্দর্য রক্ষায় সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের মত অন্য সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে আরো এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি শনিবার দুপুরে জলাবন রাতারগুলের চৌরঙ্গীঘাটে সিলেট ট্যুরিজম ক্লাব আযোজিত রাতারগুলের সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটন সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলে বলেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পালের সভাপতিত্বে এবং সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটনের পরিচালনায় বনের সাথে জড়িত রাতারগুল এলাকাবাসী নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন এবং সিলেট বন বিভাগের সহযোগিতায় আযোজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আর এস এম মনিরুল ইসলাম। গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারি ভুমি কমিশনার সুমন চন্দ দাস, ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী, ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেটের পরিদর্শক ফখরুল ইসলাম।
সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মিয়ার স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসলাম আলী মাষ্টার,রাতারগুল বন সহ ব্যবস্থপানা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম, সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন রানা।
আরো উপস্তিত ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামেলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি সাব্বির আহমদ, সিলেট ট্যুিরজম ক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল হান্নান জুয়েল, অর্থ সম্পাদক সালা উদ্দিন মিরাজ, সংস্কৃতি সম্পাদক বদরুল ইসলাম চৌধুরী, পর্যটক যোগাযোগ বিষয় সম্পাদক লোকমান মিয়া ,সহ গন যোগাযোগ বিষয় সম্পাদক তুহিন চৌধুরী, সহ অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল , সহ ক্রীড়া সম্পাদক কাউসার আহমদ ফুরকান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি