শাল্লায় দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

73

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের শাল্লার আগুয়াই গ্রামে জলবায়ু তহবিলের টাকায় নির্মিত সর্ববৃহৎ সোলার প্রকল্পের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পটি দেশের পল্লী এলাকার সর্ববৃহৎ সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কেন্দ্র বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, এড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আয়ুব বখত জগলুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন, জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ, পিপি ড. খায়রুল কবীর রুমেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোশ দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর এই প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন দিরাই-শাল্লার সদ্যপ্রয়াত সংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পিডিবি বা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বাসা বাড়িতে যেভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন এই এলাকার ৪০০ পরিবারও একইভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশের পল্লী এলাকার সর্ববৃহৎ এই সোলার প্রকল্পটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩১.৪২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জলবায়ু তহবিল থেকে ২০ কোটি ৩০ লাখ এবং বাকি টাকা দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। চারটি গ্রামের প্রায় ৪০০ গ্রাহক টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোটর দিয়ে পানি তোলাসহ সাধারণ নিয়মে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু রাইস মিল ছাড়া অন্যান্য সব কাজেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে নির্বিঘেœ। এই কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০০ কিলোয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যার ভোল্টেজ ওঠানামা করবে না। ‘আর আর ই এল সানক্রেট কনসোটিয়াম’ নামে একটি বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কেন্দ্রের কাজ বাস্তবায়ন করলেও সোলারের ব্যাটারি সরবরাহ করেছে বাংলাদেশের রহিম আফরোজ কোম্পানি। অতিরিক্ত কোন বিল না দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রচলিত ট্যারিফেই বিল প্রদান করবেন গ্রাহকরা। ইতোমধ্যে চারশ গ্রাহকের মিটার, তারসহ সংযোগ বিনামূল্যে করে দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লোকও প্রকল্প এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করবে।