কাজিরবাজার ডেস্ক :
পৃথিবী ছেড়ে চলেই গেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। জটিল রোগে আক্রান্ত আনিসুলের দেহ সাড়ে তিন মাস ধরে যুদ্ধের পর আর পেরে উঠেনি। লন্ডন স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিটে ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর গুজব ছড়াচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও গত মঙ্গলবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর তার স্ত্রী রুবানা হক দেশবাসীর কাছে তার স্বামীর জন্য দোয়া চান।
নাতির জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান ৬৫ বছর বয়সী আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার অবস্থান উন্নতি হওয়ার পর তাকে রিহ্যাবিলেটশনে রাখা হয়। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মস্তিস্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাঁকে গত ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। গত মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পূনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গত মঙ্গলবার মেয়রকে আইসিইউতে নেয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আনিসুল হকের অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবারের লোকজন লন্ডনে যান।
আগামী শনিবার সকাল ১১টা ২০মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছানোর কথা রয়েছে। ওই দিনই বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।