বিশ্বনাথে চাকু দেখিয়ে বউ-শাশুড়ির ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই

53

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে লন্ডন প্রবাসী জরিনা খাতুন (৭০) ও তার ছেলের বউ (স্ত্রী) জেবুন নাহার (৩০) নামের বউ-শাশুড়ি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ৩ ছিনতাইকারী চাকু দেখিয়ে জরিনা বেগমের ব্রিটিশ পাসপোর্ট, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেট ও নগদ ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে অটোরিক্সায় বাড়ি ফেরার পথে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের ভগিরচক নামক স্থানে গেলে তারা ওই ছিনতাইয়ের শিকার হন। প্রবাসী জরিনা বেগম হলেন উপজেলার বগিরচক (একাসুবাই) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুলহাস উদ্দিনের মা ও জেবুন নাহার হলেন জুলহাসের সহধর্মিনী।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের উত্তরা ব্যাংক থেকে বউ ও শ্বাশুড়ির পৃথক দুইটি চেকে ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এসময় জরিনা বেগমের ৬০৯২ নাম্বারের (সঞ্চয়ী হিসাব) একাউন্ট থেকে ২২লাখ ২০ হাজার ও জেবুন নাহারের ৬৭৩৯ নাম্বার একাউন্ট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোট ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তিতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে বাড়ি যাবার পথে বউ-শাশুড়ির ২২ লাখ ৭০ হাজার ও তাদের সঙ্গে থাকা রঙমালা নামের অপর নারীর মোবাইলসেটসহ আরও ১০ হাজার টাকাও নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
তবে, শ্বাশুড়ি জরিনা বেগমের দাবি, শুধুমাত্র ছেলের বউয়ের একাউন্ট থেকে ১লাখ ৫০হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর ব্যাংকে থাকাকালীন সময়ে অন্য একজনকে এক লাখ টাকা (পাওনা বাবদ) দেওয়া হয়েছে। আর প্রবাসির স্ত্রী জেবুন নাহারের দাবি শ্বাশুড়ি সবকিছু জানেনা, নিজ একাউন্ট থেকে দেড় লাখ টাকা ও শাশুড়ির একাউন্ট থেকে আরও ২২লাখ ২০হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসি টিভির ফুটেজ অনুযায়ী, টাকা দেয়ার সময় ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার আলী রেজা মুহাম্মদ ওলিউর রহমান মোবাইলে কথা বলছিলেন। বউ-শাশুড়ির দু’জনের উল্টাপাল্টা বক্তব্য, ব্যাংকের সেকেন্ড কর্মকর্তার কথাবার্তা আর তিন নারীকে এক সঙ্গে প্রায় ২৩ লাখ টাকা দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কর্মকর্তারাও বেকায়দায় পড়েছেন। কোন নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা না করে টাকা দেয়ার ব্যাপারে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল মান্নানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে, জানতে চাইলে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।