ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি আরো ২ দিন থাকবে

20

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বালির নিচে রিপিটারটি পড়ে থাকায় সেটি তুলে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। সেজন্য অতিরিক্ত সময় লাগছে।
প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (এসএমডব্লিউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণে আরো দু’দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না।
কক্সবাজারের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) একটি রিপিটার পরিবর্তনের জন্য গত ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা থেকে এটি বিচ্ছিন্ন আছে। এ সময় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং আমদানি নির্ভর ব্যান্ডউইডথের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের নির্ধারিত সময় থাকলেও তা বেড়েছে আরো দু’দিন। ইন্টারনেটের ধীরগতিতে বেশ ভোগান্তিতে রয়েছেন ব্যবহারকারিরা। তবে ইতোমধ্যে বিএসসিসিএলের গ্রাহকদের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দু’দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বালির নিচে রিপিটারটি পড়ে থাকায় সেটি তুলে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। সেজন্য অতিরিক্ত সময় লাগছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলটি ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকছে।
২০০৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ার এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।