স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভা ॥ ন্যায্য মজুরি ও ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমআইন কার্যকর করার দাবি

110

বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি এবং স’মিল সেক্টরে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন, সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকরের দাবি জানিয়েছে স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগীয় কমিটি। ২০ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট শহরের মহাজন পট্টিস্থ কার্যালয়ে স’মিল শ্রমিক সংঘ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ূবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয়  কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সুরুজ আলী। স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সরকার, স’মিল শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আরজান আলী, হবিগঞ্জ জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল বাহার, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নেতা স্বপন দাশ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নানকা, বালাগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর নূর, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ ছালিক মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা কমিটির নেতা মোঃ সফাত আলী, ওসমানীনগর উপজেলা কমিটির নেতা কয়েস মিয়া, দিরাই উপজেলা কমিটির নেতা রিপন দাশ, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির নেতা মোঃ হজর আলী, সদস্য ইমদাদুল হক ইমন, মোঃ ছাদেক মিয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন স’মিল শ্রমিকরা সকাল থেকে রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য হন। অথচ দেশের প্রচলিত শ্রমআইনের দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবস নির্ধারণ করা হয়েছে। স’মিল সেক্টরে শ্রমিকদের কাজের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা নাই, অর্জিত ছুটি, চিকিৎসা ছুটি, উৎসব ছুটিসহ শ্রমআইনের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও কার্যকর করা হয় না। সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছুটির দিনের মজুরি দেওয়া হয় না। শ্রমআইনে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও মালিকরা এসবের ধারধারেন না।স’মিল শ্রমিকদের যেমন নেই কাজের পোষাক, মাক্স, চশমা, গ্লাভস, তেমনি প্রতিষ্ঠানে ক্রেন ও ট্রলি না থাকায় অমানবিক পরিশ্রম করে বিরাট বিরাট গাছ টেনে মেশিনে তুলতে গিয়ে স’মিল শ্রমিকরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। কিন্তু মালিকরা আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বা উপযুক্ত চিকিৎসা খরচ প্রদান করেন না। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১৪ সালে স’মিল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হলেও এখনও অধিকাংশ স’মিলে নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর হয়নি। শ্রমিকরা এসব সমস্যা সমাধানে বারবার লিখিতভাবে মালিক সমিতি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের আন্দোলন-সংগ্রামে পথে অগ্রসর হয়ে দাবি আদায় করে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি