পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও গোলাপগঞ্জে চালে আগুন

64

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে চালের বাজার হুঁ হুঁ করে বাড়ায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে নিম্নবিত্তরা। এমনিতেই দীর্ঘদিন থেকেই বাজার 1505326260_9অস্থির। চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। গেল ঈদুল আযহার ৪/৫দিন পর থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চালের বাজার হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। আর ঈদের পর থেকে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। বলা যায় চালের বাজার এখন একেবারে লাগামহীন। চালের বাজারে কর্তৃপক্ষের কোন মনিটরিং পদক্ষেপ না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ। এবারের বন্যায় কৃষকদের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নি¤œ ও মধ্যম আয়ের লোকদের বাজার থেকে চাল ক্রয় করতে হচ্ছে। উপজেলার পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা বলছে মিল মালিকরা কারসাজি করছে। তারা চাল বিক্রি না করার কারণে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দাম আরও বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয় চাল বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে। ঈদের পর থেকে উপজেলার সিন্ডিকেট পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বস্তা প্রতি বাড়িয়ে দিয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তারা বলছে আমদানিকারকদের কারসাজিতে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। উপজেলার প্রধান প্রধান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল ৩০০০ টাকা, নাজিরশাইল ৩৪০০ থেকে ৩৭০০ টাকা, আটাশ ২৫০০ থেকে ২৬০০, স্বর্ণা ও ভারত থেকে আসা মোটা চালের বস্তা ২৩০০ থেকে ২৩৫০, পারিজা ২৪৫০ এবং পাইজাম চালের বস্তা ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পরে এই বাজারে এসব চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। চালের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল হক জানান, কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। বাজারে চাল কিনতে আসা মতাহির আলী বলেন, ঈদের আগে যে চাল আমি ২২০০ টাকায় কিনেছি শনিবার এই চাল গোলাপগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের সামনের দোকান থেকে কিনেছি ২৫০০ টাকা দিয়ে। দিনমজুর রহমত আলী বলেন, গতকাল চালের দোকানে গিয়ে চাল চালের দাম শুনে হিমশিম খেতে হয়েছে। পরে ১০ কেজি চাল খোলা বাজার থেকে কিনে বাড়ী ফিরি। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন উপজেলার স্থানীয় বাজারে চাল বিক্রির একটা চাট আমরা করছি। অবশ্যই এই চাট সবার কাছে পৌছে দেয়া হবে এবং আমরা বাজার মনিটরিংও করব।