কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলী প্রত্যাহারের দাবী

38

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান এমনিতেই চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিডি কর্তৃক এক পত্রের মাধ্যমে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঈনুল হককে কোন কারন ছাড়াই সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলীর করায় স্কুলের অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকার সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক মঈনুল হকের অন্যত্র বদলী প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শত বছরের প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৯ জন শিক্ষক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন মঈনুল হক। তিনি বদলী হয়ে গেলে শিক্ষকের সংখ্যা ৮ জনে নেমে আসবে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৬ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছেন। শিক্ষক স্বল্পতা থাকার পরও স্কুলের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঈনুল হক নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় উপজেলার মধ্যে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষক সংকট থাকার পরও উপজেলার মধ্যে ফলাফলের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে রয়েছে। স্কুলের দু’টি ক্লার্কের পদ শূন্য থাকায় মইনুল হক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্কুলের সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ করে থাকেন। তিনি দায়িত্ব পালনের সময় স্কুলের সৌন্দর্য্য বর্ধন সহ অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে। স্কুলের অভিভাবকবৃন্দ, সার্বিক পাঠদান অব্যাহত রাখতে প্রধান শিক্ষক মঈনুল হকের অন্যত্র বদলী প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ সিলেট-৫ আসনের এমপি সেলিম উদ্দিনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মঈনুল হক জানান গত ২০ আগষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিডি মহোদয় কর্তৃক আমার অন্যত্র বদলীর একটি চিঠি পেয়েছি। আমি নিজে কোন বদলীর আবেদন করিনি। অনেকদিন আমি কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলাম, নিষ্ঠার সাথে প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার উন্নয়নে আন্তরিকতার সহিত কাজ করছি।