উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ॥ হবিগঞ্জে নৌকাডুবিতে ৭ জন নিখোঁজের দাবি

24

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লম্বাবাগ নামক এলাকায় খোয়াই নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। নিখোঁজদের উদ্ধারে শুক্রবার দুপুর থেকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় ঢাকা থেকে আগত ডুবুরি দল। বিকেল ৩টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে নতুন কোন লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম আজহারুল ইসলাম। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আবু তাহের জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার পৌর ঘাটলা থেকে যাত্রী নিয়ে সুজাতপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। যাত্রাপথে নদীতে বানের পানির স্রোত থাকায় নৌকাটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে নৌকাটি নদীর লম্বাবাগ পাথরছড়া এলাকায় গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পানিতে ডুবে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠলেও বৃদ্ধ মহিলা ও শিশুরা পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। রাত ৯টায় স্থানীয় লোকজন ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার পর থেকে নৌকার মাঝি আইনাল হককেও খোঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে শুক্রবার ঢাকা থেকে আবুল খায়েরের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল হবিগঞ্জ আসে। দুপুরে তারা হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে। তবে তারা নতুন করে কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।
জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম আজহারুল ইসলাম। তাদেরকে দ্রুত তম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, ১৬ ঘোড়ার উপর গেলেই বাধ্যমূলক অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। নৌকাটির কোন রেজিস্ট্রেশন ছিলনা। এছাড়া নৌকায় ৪০ বস্তা সিমেন্ট, ১৮ মণ রড ও ৭০ জন যাত্রী ছিল। নৌকাটির যাত্রীদের মাঝে ৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন- শহরের বাতিরপুর এলাকার বাসিন্দা অবলা সরকার (৪৭), বানিয়াচং উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা শিশু মুক্তা রানী দাশ ও দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের ফুল বানু (৭০)। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।