বালাগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২৫

63

শিপন আহমদ, ওসমানীনগর থেকে :
বালাগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংষর্ষে ১ জন নিহত ও দুই পক্ষের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারা বাজার প্রকাশিত প্রেম বাজারে পশ্চিম ইছাপুর ও কিত্তে জালালপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ইছাপুর গ্রামের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সান উল্লা ও তার ছেলেরা। অপর পক্ষে কিত্তে জালালপুর গ্রামবাসীর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও তার নিজস্ব লোকজন। সংষর্ষে নিহত দিলোয়ার ওরফে দিলাওর (৪৫) এক জন দিন মজুর। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাপুর গ্রামের নওশা মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত পশ্চিম ইছাপুর গ্রামের আফাজ মিয়া ও লালন মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে লালন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে পর্যন্ত লালন মিয়ার জ্ঞান ফেরেনি। অন্যান্য আহতদেরকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়েছেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে নিহত দিলাওরের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বুধবার রাতে পারিবারিক করবস্থানে লাশ দাফন করা হবে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সান উল্লার ছেলে হাছান মিয়া বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে বালাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২। মামলায় ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো এক থেকে দেড় শতাধিক লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সংষর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কিত্তে জালালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুস হাসিদ সহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- আব্দুস শুকুর, মিজান মিয়া, মুনসুর মিয়া, কপিল আহমদ, আমীর আলী ও শরীফ মিয়া। পশ্চিম ইছাপুর গ্রামের আব্দুল মুমিন বলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান মতিন ও তার মামা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলায় আমাদের পক্ষের একজন মারা গেছে এবং আরো কয়েক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন ঘটনাস্থলেই নিহত ও প্রায় ২০-২৫ আহত হয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ সাত জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।