দিরাই চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার বৈঠা কার হাতে ? ধানের শীষ কার গলায় ?

208

দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও হাওরপারের রাজনৈতিক চেতন এলাকা, দিরাই উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বাণিজ্যিক রাজধনী, ২১শে পদক প্রাপ্ত পন্ডিত রাম কানাই দাসের স্মৃতি ধন্য চরনারচর ইউনিয়নে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। বড় দুই দলের ডজন খানেক প্রার্থী নৌকা-ধানের শীষ পেতে লবিং চালিয়ে যাচেছন। ইউনিয়নের শ্যামারচর বাজার, মিলনগঞ্জ ও চরনারচর বাজার সহ গ্রাম গঞ্জে এমনকি খেতে খামারে এখন ভোটের আলাপ আলোচনা। দলীয় প্রতীকে এবারের নির্বাচন হওয়ায় সবার মনেই একটু বেশি কৌতুহল প্রতিটি দলে চার পাঁচজন প্রার্থীর মাঝে কে জয় করতে পারবেন ভাটি বাংলার দুই সিংহপুরুষ আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাংসদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও জেলা ব্এিনপির আহবায়ক সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মন? নৌকার বৈঠা কে পাবেন আর ধানের শীষ কার গলায়। ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুয়ের সাথে এবং আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে মাঠে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, লৌলারচর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জগদীশ সামন্ত, তিনি সাংসদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের প্রিয়জন হিসেবে পরিচিত। আপর প্রার্থী চরনারচর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান জয়কুমার বৈষ্ণ এলাকার প্রভাবশালী এবং সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া পেরুয়া গ্রামের পরিতোষ দাসও ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহিন সুলতান ও চরনারচর গ্রামের বাসিন্দা রাতুল চৌধুরী নৌকা পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল পুর গ্রামে বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা রতি কান্ত দাস, নাছির চৌধুরীর অতি কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এলংজুরি গ্রামরে বাসিন্দা সিলেট এমসি কলেজ থেকে এম এ ডিগ্রিধারী তরুণ রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক রতন কুমার তালুকদার স্থানীয় উপজেলা নেতৃবন্দ ও সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত জন। নৌলারচর গ্রামের বাসিন্দা, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সমছু মিয়া, শ্যামারচর গ্রামের বাসিন্দা, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক কবির মিয়া, শ্যামারচর গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল, শ্যামারচর গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শফিক মিয়া ধানের শীষ পেতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। রতন তালুকদার ধানের শীষ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমার বাবা-দাদা সবাই নাছির চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে উনার সাথে আছেন আমি ও এলাকায় এসে  রাজনীতি শুরু করেছি নাছির উদ্দিন চৌধুরী হাত ধরে, লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠে নাছির চৌধুরী কে নেতা মেনে রাজনীতি করে যা”্ছ,ি আমি আশাবাদাী আমাদের নাছির উদ্দিন চৌধুুরী ও আমাদের দল আমার কাজের মূল্যায়ন করবে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদী রতি কান্ত দাস সহ অন্যান্যরাও। জগদীশ সামন্ত, পরিতোশ দাস, রাতুল চৌধুরী ও নৌকা পাওয়ার আশাবাদী। তবে উপজেলা আওয়ামীরীগ ও বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সবকিছু নির্ভর করে আমাদের দুই নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও নাছির চৌধুরীর উপর। যারা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মন জয় করতে পারবে, তারাই পাবেন নৌকার বৈঠা আর ধানের শীষ।