জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপির দেড়শ বছরের প্রাচীনতম রহিমপুর জামে মসজিদে প্রায় ২ বছর থেকে নামাজ আদায় বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, রহিমপুরী খালে শত কোটি টাকা ব্যয়ে আপার সুরমা-কুশিয়ারা রহিমপুর পাম্প হাউজের ইনটেক চ্যানেল খননের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণেই খনন কাজে মসজিদ, ঈদগাহ ও ভূমি বিলিন হয়ে যায়। মসজিদ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিলেটে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে জানালেও কোন সুষ্ঠু সমাধান পাননি। মসজিদের জন্য মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায় হলেও তারা মসজিদ পুন:নির্মালের কোন উদ্যোগ না নিয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে আপার সুরমা-কুশিয়ারা রহিমপুর পাম্প হাউজ প্রকল্পের ইনটেক চ্যানেল খননের সময় মসজিদ, ঈদগাহ’র ভূমি প্রকল্পের খনন কাজে বিলিন হয়ে মসজিদটি বর্তমানে মাটি শূন্য চারটি খুঁটির উপর রয়েছে। মাটি শূন্যতার কারণে মসজিদের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ২ বছর থেকে ইসলামি ফাউন্ডেশন ও ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিছুদিন এ মহল্লার মুসল্লিরা অন্যত্র অস্থায়ীভাবে একটি মসজিদ তৈরী করে নামাজ আদায় করলেও বর্তমানে অস্থায়ী মসজিদেও নামাজ আদায় করতে পারছেন না। এরই প্রতিবাদে ও মসজিদ, ঈদগাহের ভূমিসহ পুন:নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুসল্লি আব্দুল খালিকের সভাপতিত্বে ও পারভেজ আহমদের পরিচালনায় মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মসজিদের সমাজসেবক মো. জিয়াউর রহমান, আব্দুল হান্নান, মাহতাব আহমদ কুটন, মসজিদের ইমাম ওয়াদুদ আহমদ, রবাই মিয়া, মুজিবুর রহমান, পাখি মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, সলু আহমদ, আব্দুন নূর, আব্দুল মতিন, ফয়সল আহমদ, তাহির আলীসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।