কানাইঘাটে প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতি সংঘটিত, সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট

18

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট দীঘিরপার পূর্ব ইউপির খুলোর মাটি গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল আমিন চৌধুরীর বাড়ীতে ডাকাতি Dakati Picসংঘটিত হয়েছে। অস্ত্রধারী একদল ডাকাত গত রবিবার দিবাগত রাত অনুমান দেড়টার দিকে সৌদি প্রবাসীর বশত বাড়ীতে হানা দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫৮ হাজার টাকা সহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। প্রবাসীর পিতা হাফিজ আতাউর রহমান চৌধুরী জানান, রবিবার দিবাগত রাত অনুমান দেড়টার দিকে ১০/১২ জনের অস্ত্রধারী একদল ডাকাত তার বশত ঘরের একটি কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তিনি সহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে বেঁধে রাখে। ডাকাতরা ঘরের ৪টি কক্ষে হানা দিয়ে স্টীল ও কাঠের সোকেস, আলমারী, সুটকেস ভেঙ্গে অন্যান্য মালামাল তছনছ করে প্রায় আধাঘন্টা তান্ডব চালিয়ে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫৮ হাজার টাকা, ৩টি লাইট, ১টি মোবাইল সেট সহ আনুষঙ্গিক দামী জিনিসপত্র লোট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের কয়েকজনের হাতে বন্দুক ও রড ছিল। একজন মুখোশপরা, অন্যান্য ডাকতদের পরনে ছিল হাফ প্যান্ট ও ফুল প্যান্ট। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। পরে ডাকাতির ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরীকে জানানো হলে তিনি সড়কের বাজারে অবস্থানরত কানাইঘাট থানার এস.আই স¤্রাজকে জানালে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় ডাকাতদের পাকড়াও করতে চেষ্টা করলেও এর আগেই ডাকাতরা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গতকাল সোমবার কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় বাড়ীর গৃহকর্তা হাফিজ আতাউর রহমান চৌধুরী থানায় ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকাতির ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক প্রবাসীর বাড়ীতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির ঘটনাটি তদন্ত চলছে, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্প্রতি খুলুরমাটি গ্রামে দু’ই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হলে উভয় পক্ষে থানায় মামলা করলে বর্তমানে গ্রামের অনেকে বাড়ী ছাড়া। এছাড়া যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানের কারনে আশপাশের লোকজন বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার কারনে দুষ্কৃতিকারীরা বাড়ি ঘরে হানা দিয়ে ডাকাতি, চুরি সংঘটিত করছে। তিনি বলেন, গত দুই মাসে খুলুরমাটি, লন্তিরমাটি এলাকায় ৩/৪টি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।