চাঞ্চল্যকর রাজন হত্যা মামলা ॥ কামরুল ও ময়নাসহ ৪ জনের ফাঁসি ॥ ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

70

সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত কিশোর রাজন হত্যা মামলায় প্রধান আসামী কামরুল ও ঘটনার মূল নায়ক ময়না s---------------1চৌকিদারসহ ৪ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ (ফাঁসি) দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়ার যাবজ্জীবন ও ৫ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। ৪ মাসের মাথায় ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে গতকাল ররিবার দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আকবর হোসেন মৃধা চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করেন। এর মধ্যে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো.জাকির হোসেন পাভেল ওরফে রাজু ও ৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত আসামী শামীম আহমদ ওরফে শামীম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন : ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া  গ্রামের মৃত আবদুুল মালেকের পুত্র সৌদি-আরব প্রবাসী কামরুল ইসলাম ওরফে কামরুল (২৮), জালালাবাদ থানার পীরপুর গ্রামের মৃত মহিব উল্লাহর পুত্র সাদিক আহমদ ময়না ওরফে বড় ময়না ওরফে ময়না চৌকিদার (৪৫), শেখপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার পুত্র তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল (২৮), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের অলিউর রহমান ওরফে অলিউল্লাহর পুত্র মো. জাকির হোসেন পাভেল ওরফে রাজু (১৮) ।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হচ্ছেন-সিলেট সদর উপজেলার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের পুত্র ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া (২০)। ৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সাদিক আহমদ ময়না ওরফে বড় ময়না ওরফে ময়না চৌকিদার (৪৫), সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আবদুুল মালেকের পুত্র মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), তার বড়ভাই আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪), ছোটভাই শামীম আহমদ ওরফে শামীম (২০)। ১ বছরের দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-সাদিক আহমদ ময়না ওরফে বড় ময়না ওরফে ময়না চৌকিদার (৪৫), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাঁওয়ের মোস্তফা আলীর পুত্র আয়াজ আলী (৪৫) ও সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন আহমদের পুত্র দুলাল আহমদ (৩০)। খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শি ইসলামপুর গ্রামের মৃত মজিদ উল্লাহর পুত্র মো. ফিরোজ আলী (৫০), আছমত উল্লা (৪২) ও সিলেট সদর উপজেলার হায়দরপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের পুত্র রুহুল আমিন ওরফে রুহেল (২৫)।KKKK
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় : রাজন’র বাড়ি শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পাশে সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম পেশায় একজন মাইক্রোবাস চালক। তার দুই ছেলের মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা সামিউল আলম রাজন সবজি বিক্রি করত। গত ৮ জুলাই সকালে অন্যান্য শিশুদের সাথে কুমারগাঁওয়ের একটি ওয়ার্কশপে খেলাধূলা করতে যায় রাজন। সেখানে চৌকিদার ময়না মিয়া রাজনকে চোর অপবাদ দিয়ে আটক করে এবং মার্কেটের মালিক সৌদি-আরব প্রবাসী কামরুলসহ অন্য কয়েকজনকে খবর দেয়। পরে রাজনকে ঘাতকদের নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতনের সময় রাজন যখন আর্তনাদ করছিলো তখন পাষন্ডরা অট্টহাসিতে মেতেছিলো। প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায়নি শিশু রাজন। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগে রাজন পানি খেতে চেয়েছিলো। কিন্তু ঘাতকরা তাকে পানির বদলে ঘাম খেতে বলে। ঘাতকদের নিষ্ঠুর অত্যাচার, নির্মম মারপিট ও লাঠির আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৬৪টি আঘাতের চিহৃ ছিল। ঘাতকরা খুনের ঘটনা আড়াল করতে ভ্যান চুরির মিথ্যা অপবাদের কালিমা লেপন করেছিলো। ওই দিন ওয়ার্কশপে কোন ভ্যান গাড়ী ছিল না। মূলতঃ চুরি ঘটনাটি ছিল মিথ্যা, বানোয়াট। তারা রাজনকে বলবদকার করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজন তাতে রাজি হয়নি। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আসামিরা মরিয়া হয়ে উঠে। আসামি কামরুল, আলী হায়দার, মুহিত আলম তড়িঘড়ি করে একটি মাইক্রোবাসে করে রাজনের মৃতদেহ গুম করার চেষ্টাকালে গ্রামবাসী মুহিত আলমকে আটক করে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘাতকরা ধারনকৃত রাজন নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে এ ঘটনাটি নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক তোলপাড় সুষ্টি হয়। এ ঘটনায় গাফলি করার কারণে জালালাবাদ থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হন। হত্যাকান্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে রাজনের বাবাও হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরেকটি এজাহার দেন। গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার  চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। এর আগে মুহিত আলমসহ ৮ জন এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। গত ২৪ আগস্ট আদালত এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ পলাতক ৩ আসামির মালামাল ক্রোক করেন। এর পর ইন্টারপোলের মধ্যেমে সৌদি-আরব থেকে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামীর বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে একে একে সাক্ষ্য নিয়ে যুক্তি-তর্কের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ মামলার কার্যক্রম।
যে যে ধারায় আসামীদের সাজা দেয়া হলো : ৩৬ সাক্ষীর  সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৪ মাসের মাথায় গতকাল রবিবার দুপুরে আদালত আসামী কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেলকে ফৌজদারী আইনের ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ এনে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ডের (ফাঁসি) পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেক আসামী ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়াকে ফৌজদারী আইনের ১০২/৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ এনে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলার অপর আসামী ময়না চৌকিদার, শামীম আহমদ, আলী হায়দার ও মুহিত আলমকে ফৌজদারী আইনের ২০১/৩৪ ধারার অপরাধ এনে প্রত্যেককে দোষি সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। অপরদিকে আসামী ফিরোজ আলী, আছমত উল্লা ও রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
আদালতপাড়া মুখরিত ফাঁসির শ্লোগানে : চাঞ্চল্যকর রাজন হত্যা মামলার রায় শুনতে গতকাল রবিবার সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় ভিড় করেন বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ। সকাল সোয়া ১১টা ১০ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে কামরুলসহ মামলার ১১ আসামীকে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। তখন সমবেত জনতা ‘ফাঁসি ফাঁসি’ শ্লোগানে আদালত চত্বর প্রকম্পিত করে তুলেন। এ অবস্থায় আসামীদের কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারাত্মক বেগ পোহাতে হয়। বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে আসামীদের কাঠগড়ায় আনা হয়। এর আগ থেকেই এজলাসে আসন গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ মোঃ আকবর হোসেন মৃধা। আসামীদের কাঠগড়ায় আনার পর তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে তিনি রায়ের ৭৬ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত আদেশ পড়ে শোনান। রায় শোনার পর পরই কামরুলসহ অন্য আসামীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর পর দুপুর দেড় টার দিকে সকল আসামীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ে জনতার প্রতিক্রিয়া : দূর-দূরান্ত থেকে অনেক গতকাল মানুষ আদালপাড়ায় এসেছিলেন ঐতিহাসিক এ হত্যা মামলার রায়ের সাক্ষী হতে। টুকেরবাজার এলাকার বাসিন্দা মামুন আহমদ বলেন, আমরা রাজনের বিচারের মতো সব হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ হত্যাকান্ডের রায় শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। রায় শুনতে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে এসেছেন সত্তরোর্ধ্ব আমির আলী। তিনি বলেন, রাজন হত্যাকারীদের যেভাবে দ্রুত বিচার হয়েছে, এভাবে যদি সমাজে প্রতিটি অপকর্মের বিচার হতো তাহলে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল হয়ে যেতো। মানুষও শান্তিতে থাকতো। রাজনের বাড়ি বাদেয়ালী গ্রামের বাসিন্দা সোনা মিয়া বলেন, আদালত ন্যায়বিচার করেছেন। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। কানাইঘাট থেকে আসা জামাল আহমদ বলেন, শুধু এ হত্যাকান্ডের রায় শোনার জন্য সকালে আদালতপাড়ায় হাজির হয়েছি। রাজন হত্যার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবার আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হলে আরও খুশি হবো।
রায়ে সন্তুষ্ট রাজনের পিতা-মাতা : রাজন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত রাজনের পিতা শেখ আজিজুল ইসলাম আলম ও মাতা লুবনা বেগম। রায় প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাজনের পিতা বলেন, রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট। এ সময় দ্রুততার সঙ্গে রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি। রাজনের মা লুবনা বেগম বলেন, ছেলে হত্যার ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছিলাম। রায়ে আসামিদের ফাঁসি হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। এখন দ্রুত আসামীদের ফাঁসি কার্যকর ও পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদেও বক্তব্য : রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় কামরুলের আইনজীবী আলী হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ে তাদের আসামিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাদের আশা, উচ্চ আদালতে আসামিরা খালাস পাবেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট মফুর আলী বলেন, আদালত এ হত্যা মামলার ন্যায়বিচার করেছেন। রাজন হত্যার ক্ষেত্রে আদালতে শিশু সুরক্ষা আইনের রেফারেন্সও টানা হয়েছে। মামলাটি ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালত ঠিক চার মাসের মাথায় বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় দিয়েছেন। তাছাড়া আসামি কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার তৎপর ছিলো। এ মামলাটি শিশু নির্যাতন রোধের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিলেট জেলা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বিড়াল যেভাবে ইঁদুরকে ধরে প্রথমে এনজয় করে, খেলা করে একটি সময় হত্যা করে। ঠিক সেভাবেই নরপিশাচেরা শিশুটিকে নিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রহার করেছেন। যারা আঘাত করে হত্যা করেছেন তাদের চার জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। যারা মৃতদেহ গুমের চেষ্টা করেছেন তাদের সাত বছর করে কারাদন্ড এবং যারা রশি দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার নথিপত্র সাত কার্যদিবসের মধ্যে উচ্চ আদালতে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালত রাজন হত্যার ঘটনাকে এরশাদ শিকদারের মতো বর্বরোচিত ও বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি আরো বলেন, ‘একটি ঘৃণ্যতম শিশু হত্যার বিচার খুব দ্রুত পেলেন একটি নিরিহ পরিবার। এতে দেশে শিশু হত্যা দমন ও মানুষের সুবিচার পাওয়ার আইনি পরিবেশ তৈরি হল।’