স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর কুমারপাড়ায় শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মুহিবুর রহমান মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুর রশীদ। গতকাল রবিবার এ হত্যা মামলার চার্জগঠনের তারিখ ধার্য ছিল। তবে এদিন আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুর রশিদ চার্জ গঠন না করে পলাতক আসামি মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেন। এবং পরবর্তী মামলার তারিখ ১৬ নভেম্বর নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মালেক জানান, গতকাল এয়ারপোর্ট থানার বরখাস্তকৃত কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামী এবাদুর ও গেদা তাদের কৌসলির মধ্যে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করেন। এর পর গেদার তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন জানান। তখন আদালত তার এ আবেদন মামলার নথিতে রেখে দেন।
এর আগে ২৯ অক্টোবর মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণের পর মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করা হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন। চার্জশিটে এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন- সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।