আতিকুর রহমান মাহমুদ, ছাতক থেকে :
ছাতক ও দোয়ারায় পৃথক সংঘর্ষে মহিলাসহ ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ছাতক উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিররাই-মুক্তিরগাঁও গ্রামের দু’পক্ষ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নেতরছই গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে পৃথক এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে তিররাই-মুক্তিরগাঁও গ্রামের জাহির মিয়ার পুত্র গিয়াস গংরা রাস্তার উপর মাড়াই মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই কাজ করছিল। এ সময় একই গ্রামের হাজী লাল মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া এ রাস্তা দিয়ে তার মাড়াই মেশিন নিয়ে যেতে না পারায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ২৫ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত জামাল উদ্দিন (২২), মানিক মিয়া (৩০), আশিদুর রহমান (১৮) আরজ আলী (৩৬)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মানিক মিয়ার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। অনান্য আহতরা জুনেদ (১৭), কুতুব উদ্দিন (২৩), শুকুর আলী (৩০), আফিজ আলী (৪২), রাশেদ (২২), ইমান আলী (৫০),আরিফুল বেগম (৪৫)সহ আহতদের ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দোয়ারার নরসিংপুর ইউনিয়নের নেতরছই গ্রামের ছোবহানের পুত্র জাবেদ শিয়া ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র নুরুল গনির মধ্যে সকালে গ্রামের রাস্তায় কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত কামাল আহমদ(৩০) জাবেদ আহমদ(২৮), নুরুল গনি(৩৬), আব্দুল মছব্বির(৫২), মাজেদা বেগম(১৭), ফারুক গনি(৩০), সামসুল গনি(৫০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।