স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা পরিষদে শ্রমিক লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিক লীগের দুই কর্মী জেলা পরিষদের নামাজের কক্ষটি ভেঙ্গে ফেলে। পরে তাদেরকে আটক করা হলে শ্রমিক লীগ নেতারা তাদের নিয়ে আসেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভা শেষে শ্রমিক লীগের নেতা শাহ আলাম ও খায়ের মাস্টার গ্র“পের দুই কর্মী তর্কাতর্কি করেন। এর জের ধরে জেলা পরিষদ গেটে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দু’পক্ষ পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিক লীগের দুই কর্মী জেলা পরিষদের ২য় তলায় নামাজের জন্য হার্ড বোর্ড দিয়ে তৈরী করা নামাজের কক্ষের উপর অবস্থান নেয়। এ সময় নামাজের কক্ষটি ভেঙ্গে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পরিষদের সিএ কামরুজ্জামান মাছুমসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকেরকে আটক করেন।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমীক লীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। ওই সময় মাছুম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন।
তখন মতিউর রহমান ১০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু জরিমানার কথা শুনে শ্রমিক লীগ নেতারা উত্তেজিত হয়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে জোর করে আটক দুই কর্মীকে তারা নিয়ে যায়।
সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থাকার ওসি মো. সুহেল আহমদ বলেন, শ্রমিক লীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছু পাইনি।
সিলেট জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগে সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।