বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ॥ এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

34

স্টাফ রিপোর্টার :
এমসি কলেজে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৩ জন। সংঘর্ষের ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। মঞ্চের দখল ও নাম ঘোষণা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঞ্জয়-কামরুল গ্র“পের নেতাকর্মীদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী কয়সর ও সবুজ। এছাড়া আইয়ূব নামের আরেক যুবক আহত হয়েছেন। সে ছাত্রলীগ কর্মী কি-না তা জানা যায়নি। আহত তিনজনই ছুরিকাঘাতের শিকার।
কলেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে এমসি কলেজে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন উপভোগ করতে থাকেন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এই পরিচয় পর্ব থেকে বাদ যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু। এতে নিপু ও তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হন। এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিপু গ্র“পের আকাশ ও ডায়মন্ডের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালায়। এ সময় মঞ্চের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্রলীগের সঞ্জয়-কামরুল গ্র“পের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন। সংঘর্ষ শুরুর পর ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন দিগবিদিগ ছোটাছুটি শুরু করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করেন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশের একটি দল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে টিলাগড়ে ছাত্রলীগের উভয় গ্র“প মুখোমুখি রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু  বলেন, কলেজের অনুষ্ঠানের মঞ্চে কলেজের ছাত্ররাই থাকবে এটাই নিয়ম। কিন্তু মঞ্চে যারা ছিলেন তারা অছাত্র, এমনকি এদের বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়ালেখা করেনি। এনিয়ে কলেজের ছাত্রদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঞ্চে অছাত্র যারা ছিলেন তারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কি-না জানতে চাইলে নিপু বলেন- সব দলেই এরকম লোক থাকে। তবে কলেজের অনুষ্ঠানে তারা মঞ্চে থাকা উচিত নয়।