স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই নগরবাসী। পরিবহন যানজট লেগে থাকে সর্বক্ষণ। এ যেন ফুটপাত ব্যবসায়ীদের মিলন মেলা হিসেবে নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের। রয়েছে শুধু পথচারীদের বিড়ম্বনা। কিছু হাদিয়া পাওয়ার আশায় কতিপয় অসাধু নেতা কর্তারা ফুটপাত হকারদের বসিয়ে এসকল এহেন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া এমনিতেই রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরবাসী ভোগান্তিতে রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরীর বেষ্টিত সৌন্দর্য ফুটপাত হকারদের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। তার ফাঁকফোঁকর লাভবান হচ্ছেন কতিপয় সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের ইশারায় ফুটপাত হকাররা রমরমা বাণিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন। এনিয়ে একের পর এক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়ছে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। নগরীর বন্দর বাজার পয়েন্ট থেকে শুরু করে, লালবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, সিটি পয়েন্ট, সুরমা পয়েন্ট ও সবুজ বিপণী মার্কেটের মহানগর পত্রিকা হকার সেড পর্যন্ত গড়ে উঠেছে এসব ফুটপাত। রয়েছে সবুজ বিপণীর পার্শ্ববর্তী স্কুল অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখেও হকারদের কেনাবেচা। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরীতে আসা পথচারীরা। যদিও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতিহারে মূল প্রাধান্য বিষয় ছিল নগরী থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, পানি নিষ্কাশন ও নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখা। কিন্তু প্রায় বছরখানিক সময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব পালনের পর পরই শাহ এমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আসামী হলে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে তিনি জেল হাজতে চলে গেলে শুরু হয় নগরী নিয়ে টানা হেঁচড়া। ধূলিসাৎ হয়ে যায় নগরীরর সকল আশা ভরসা। তার অনুপস্থিতে নগরীর সিটি কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তিরা হকারদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনীয়তা রক্ষা করে বসিয়ে রেখেছেন ফুটপাত হকারদের। এসব ফুটপাত হকারদের নেতৃত্ব দেন নামধারি কিছু নেতা ও পুলিশের কিছু দালাল। ওই দালালরা প্রতিদিন দোকান প্রতি ২০ থেকে ৩০’টাকা হারে হাতিয়ে নেন। গোটা এ এলাকায় ১ হাজারেরও বেশি দোকান কোঠা রয়েছে। এর একটি অংশ ভাগবাটোয়ারা হিসেবে চলে যায় সিটি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কতিপয় কিছু অসাধু কর্তাদের পকেটে। এ থেকে বাধ পড়েন না কতিপয় প্রভাবশালী নেতারাও। অনেকক্ষেত্রে দোকানের পজিশন বিক্রয় করেও হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা।