সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লায় শনিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে এবং রবিবার ভোর বেলায় দু’দফা কালবৈশাখীর ঝড়ে অন্তত দুই হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। শাল্লা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নীরেশ চন্দ্র দাস, জগন্নাথপুরে নূরজাহান বেগম, তাহিরপুরে সুমন মিয়া নামের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিরেশ ও সুমন বজ্রপাতে এবং নূরজাহান বেগম ঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।
এদিকে দিরাই শাল্লা ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায় আরো কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, অর্ধ ঘন্টাব্যাপী বয়ে যাওয়া ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলার রফিনগর, ভাটিপাড়া, রাজানগর ও চরনারচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন ফোনে আমাদের ক্ষতির কথা জানাচ্ছে। পৌর সদরের নররোত্তমপুর, আনোয়ারপুর, নয়া হাটি, কান্দা হাটি ও ভরারগাঁও গ্রামের শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এরশাদুল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে দুই উপজেলায় ১৯ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখনো মোট ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। জেলা প্রশাসনকে ক্ষতির পরিসংখ্যান জানানো হয়েছে।