দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষের দুই দিন ব্যাপী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গতকাল রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে হেলিকপ্টার থেকে দিরাই হেলি প্যাডে অবতরণ করে বিশাল গাড়ির বহর ও বর্ণাঢ্য র্যালি সহকারে দিরাই উচচ বিদ্যালয়ের সামনে নব নির্মিত শতবর্ষের “স্মারক স্তম্ভের” উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী। দুপুর সাড়ে ১২টায় দিরাই বিএডিসির মাঠে শতবর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। হাজার হাজার মানুষের মুহু মুহু করতালী ও শ্লোগানের মধ্যে অর্থমন্ত্রি বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষে অতিথি ছিলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, এডভোকেট শামসুন্নাহার শাহানা রব্বানি এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ব্যারিষ্টার এনামুল কবির ইমন, সাবেক এমপি মতিউর রহমান। এ সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মঞ্চে বসা দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক হাফিজুর রহমান তালুকদার ও অপর আহবায়ক ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক আলতাব উদ্দিন কে অতিথিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাবেক যুগ্ম-সচিব ও শতবর্ষের ঢাকা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ ওমর খৈয়াম। বক্তব্য রাখেন দিরাই পৌরসভার মেয়র আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, নারীর টানে আমি এখানে এসেছি। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়সহ ভাটি অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, আমার জীবনের প্রথম এখানে এসেছি, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম আমি আর কখনো দেখিনি। শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ আমাকে অভিভূত করেছে। তিনি জিপিএ-৫কে শিক্ষার্থীর জন্য নির্যাতন উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা যারা লেখা পড়ে জিপিএ-৫ পাচ্ছে সেই রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পি আব্দুল কাইয়ুম ও আমিসহ আমার কেউই জিপিএ-৫ পাইনি। অনেক গুণীজনরাই জিপিএ-৫ না পেয়েই নিজ নিজ পেশায় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন, আমরা জিপিএ-৫ এর পিছনে না ছুটে আমাদের উদ্দেশ্য থাকবে সন্তানদের গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার পথ সুগম করে দেওয়া।