কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি) ট্রানজিট চুক্তির আওতায় কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত।
এরই আলোকে বুধবার দুপুরে ভারতের আসাম থেকে নিয়ে আসা ৮ দশমিক ২ মেট্রিকটন চা পাতার একটি চালান কন্টেইনারে করে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল, তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সালেহ আহমদ, ম্যাংগো লাইনের সিনিয়র ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান খান এবং গোয়াইনঘাট থানার এসআই এমরুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চায়ের চালানের কন্টেইনারটি বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
তামাবিল স্থলবন্দর সূত্র জানায়, অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি) চুক্তির আওতায় এই ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এই চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় কতৃপক্ষ প্রশাসনিক মাশুল চার্জ, স্থানীয় টোল ও ফিসহ অন্যান্য খরচ বহণ করে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করছে।
সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানান, ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী এর আগেও গত ১০ আগষ্ট প্রথম ট্রায়ালের পণ্য মোংলা বন্দরে খালাসের পর সেখান থেকে তামাবিল দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে। আজ আবার ৮ দশমিক ২ মেট্রিক টন চা পাতাসহ কন্টেইনারের আরেকটি চালান পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ভারতের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে সমুদ্র পথে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাবে।