স্পোর্টস ডেস্ক :
সরফরাজ আহমেদের দুর্দান্ত শতকে আইরিশদের বিপক্ষে সাত উইকেটে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করলো পাকিস্তান।
আইরিশদের দেওয়া ২৩৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালই করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান যোগ করে ওপেনার শেহজাদ ব্যক্তিগত ৬৩ রানে সাজঘরে ফেরেন।
শেষ পর্যন্ত ৪৬তম ওভারে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নিয়ে দলকেও জয় উপহার দেন সরফরাজ।
রোববার (১৫ মার্চ ) অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বকাপের গ্র“প পর্বের শেষ ম্যাচে পুল ‘বি’তে থাকা মুখোমুখি হয় পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড।
আইরিশদের দেওয়া ২৩৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনাশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভাল সূচনা করে দিয়েছিলেন শেহজাদ-সরফরাজ। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে শেহজাদ ফিরে গেলেও সরফরাজ-মিজবাহ আবারও একটা ভাল জুটি গড়েন। দলীয় ২০৮ রানে মিসবাহ ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হন।
মাঝে হারিস সোহাইল রান আউট হয়ে গেলেও দলে সেটা তেমন একটা প্রভাব ফেলতে দেয়নি সরফরাজ-মিসবাহ জুটি। এরপর সরফরাজ-আকমল জুটি দলকে জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টার ফিল্ডের দায়িত্বশীল শতকের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সোহেল খানের বলে ম্যাচের ৩৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। এরপরই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। বাকি ওভারগুলোতে মাত্র ৫৫ রান যোগ করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারায় আইরিশরা।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে আইরিশদের সাজঘরে ফিরতে থাকে আইরিশরা। পাকিস্তানি পেসাররা বড় সংগ্রহের পথে বারবার বাধা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৩৭ রানেই গুটিয়ে দেয় আইরিশদের।
অধিনায়কের সাজঘরে ফেরার পর ম্যাচের ৪১তম ওভারে সোহেল খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসন। এরপর আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানি পেসার রাহাত আলী। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে থমসনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি।
এরপর অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান কেভিন ও’ব্রায়েন। ৪৮তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪৯তম ওভারের ২য় বলে মনিকে ফিরিয়ে ওহাব রিয়াজ নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। একই ওভারের শেষ বলে ডকরেলকে রান আউট করে আইরিশদের স্কোর বোর্ড থামিয়ে দেন।
এর আগে ম্যাচের ৩০তম ওভারে হারিস সোহেল তুলে নেনে আইরিশদের চতুর্থ উইকেট। ওভারের চতুর্থ বলে আইরিশ ব্যাটসম্যান বালবার্নি শহীদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
স্কোরবোর্ডে শতরান পূর্ণ না হতেই তিন উইকেট হারায় আইরিশরা। দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার স্টারলিংয়ের উইকেট হারালেও জয়েসকে সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন পোর্টারফিল্ড। দলীয় ৫৬ রানে ওহাব রিয়াজের বলে ব্যক্তিগত ১১ নারে ফিরে যান জয়েস। ফলে দুই উইকেটে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেল ওব্রায়েন ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১২ রান করে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় রাহাত আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
ওপেনিং স্পেলে বোলিং করতে তৃতীয় ওভারের ৩ নম্বরে বলে স্টারলিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাদেঁ ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান আদিল।
টসে জিতে আয়াল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন পোর্টারফিল্ড এবং স্টারলিং। আর পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন সোহেল খান।
এ জয়ের ফলে ২০ মার্চ অ্যাডিলেডে কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে সহযোগী আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার।
স্কোর
আয়ারল্যান্ড : ৫০ ওভারে ২৩৭/১০ ( পোটারফিল্ড ১০৭, ও’ ব্রায়েন ১২, ব্যালবিরনি ১৮, উইলসন ২৯, থম্পসন ১২, মুনি ১৩ ; ওহাব রিয়াজ ৩/৫৪ সোহেল ২/৪৪, রাহাত ২/৪৮)
পাকিস্তান : ৪৬.১ ওভারে ২৪১/৩ ( শেহজাদ ৬৩, সরফরাজ ১০১* , মিসবাহ ৩৯, উমর আকমল ২০* ; কুসাক ১/৪৩ )
ফল : পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।