ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। উপ-নির্বাচনে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়নে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ইউনিয়নের হাট-বাজার, পয়েন্ট ও গ্রামে গঞ্জে প্রচারাভিযানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। দোয়ারা উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০হাজার ৫শ’ ১৮ জন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর টানা ৪ বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান মৃত্যুবরণ করলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা সদস্যা মিনারা বেগম। উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত জসিম মাষ্টার (তাল গাছ), আবুল হোসেন (অটো-রিক্সা), বিএনপি সমর্থিত আব্দুর রহিম( দু’টি পাতা), মোরশেদ আলম (টেবিল ফ্যান) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোটাররা ১৯ মার্চ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রার্থীদের মধ্যে ৩জন প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করলেও মোরশেদ আলম রয়েছেন জেল হাজতে। গত ১২ ফেব্র“য়ারী যৌথবাহিনী তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তবে নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছেন তার স্ত্রী জোবলী আক্তার মোরশেদ। তিনি স্বামীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের বাড়ী-বাড়ী গিয়ে। মরহুম আব্দুস সোবহান চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আব্দুর রহিমও উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে টানা ৪ বারের নির্চাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুস সোবহান। বড় ভাই’র জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার প্রচারণায় এগুচ্ছেন আব্দুর রহিম। অপর দিকে সরকার দল সমর্থিত প্রার্থী জসিম মাষ্টার এ ইউনিয়নের নির্বাচনে আরো দু’বার প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি। এবারের উপ-নির্বাচনে ভোটারের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হবেন বলে এমন কথা বলেন তার সমর্থকেরা। সরকার দলীয় সমর্থিত আরেক প্রার্থী এম আবুল হোসেন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনিই বিজয়ী হবেন। ইউনিয়নের ৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে বাঁশতলা ও হক নগর কেন্দ্র। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কলাউরা মাদ্রাসা ও কুশিউরা মাদ্রাসা কেন্দ্রকেও। এসব কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি, পেশী শক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির অভিযোগ আগ থেকেই উত্থাপন করছেন উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম ও মোরশেদ আলমের স্ত্রী জুবলী আক্তার মোরশেদ। অতীতের রেকর্ড থেকেই তারা এসব কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। মোরশেদ আলমের স্ত্রী জুবলী আক্তার মোরশেদ বলেন প্রতিদ্বন্দ্বিরা আমার স্বামীর জনপ্রিয়তা দেখেই তাকে চক্রান্ত করে আগে থেকেই মাঠ থেকে সরিয়ে রেখেছেন। আমি আশাবাদী আমার স্বামী জনতার দোয়ায় বিজয়ের বেশে ফিরে আসবেন তিনি। মরহুম আব্দুস সোবহান চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আব্দুর রহিম জানান, বাংলাবাজার ইউনিয়নের জনগন আমার বড়ভাইকে মনেপ্রানে ভালবাসতো। আমার ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমি এ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি আমাকেও ভালোবেসে তারা ভোট দিয়ে সে সুযোগ করে দিবেন। আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী এম আবুল হোসেন জানান, বাংলাবাজার ইউনিয়নের মানুষ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে আরো বেগবান করতে আমাকে নির্বাচিত করবে। দোয়ারাবাজারের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।