ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে লিচুর গ্রাম মানিকপুর-গোদাবাড়িসহ আশপাশের লিচু চাষীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি লিচু গাছেই প্রচুর মুকুল আসায় চাষীরা ভাল ফলনের প্রত্যাশা করছেন। সংশ্লিষ্ট কৃষকরা সর্বোচ্চ ফলনে নিয়মিত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অধিক ফলনের বুক ভরা আশায় কৃষকদের মধ্যে বইছে সম্ভাবনার হাতছানি। প্রতি বছরই উৎপাদিত লিচু বিক্রি করে লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন এখানের চাষীরা। এ বছর আয়ের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে লিচু চাষীরা ধারণা করছেন। এদিকে কৃষকদের প্রত্যাশিত ফলন ধরে রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিটি লিচু গাছে হরমুন ¯েপ্র করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৭ মার্চ মানিকপুর গ্রামে মেশিনের মাধ্যমে লিচু গাছে হরমুন ¯েপ্রর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ। ইতিমধ্যেই ফরমুন ¯েপ্র করার বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণও দিয়েছেন লিচু চাষীদের। মানিকপুর, গোদাবাড়ি, কচুদাইর, বড়গল¬া, চানপুর, রংপুর, রাজারগাঁওসহ আশপাশের গ্রামের লিচু চাষীদের লিচু উৎপাদনে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন এ কর্মকর্তা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকেও সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে এখানের লিচু চাষীরা ছাড়াও অন্যান্য গ্রামের লোকজন লিচু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। লিচু চাষী আব্দুল মুমিন, শুকুর আলী, আরব আলী, রুস্তুম আলী জানান, এ বছর ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনায় লিচু চাষীদের মধ্যে বইছে অন্যরকম আনন্দ। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকেও সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার কথা উল্লে¬খ করে তারা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা হলে ফলন শতকরা ৯৫ ভাগ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, লিচু চাষে উৎসাহিত করতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কয়েক দফা উন্নত প্রজাতির লিচু চারা বিতরণ করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে। স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় লিচু চাষীদের হাতে উন্নত বারি-৩ প্রজাতির লিচু চারা তুলে দেয়া হয়েছে। লিচু চাষীদের বিবেচনায় এসব লিচুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন এমপি মানিক। যোগাযোগ ব্যবস্থাও আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। লিচুর পাশাপাশি কাঁঠালের চারাও বিতরণ করা হয়েছে চাষীদের মাঝে। বিতরণকৃত এসব চারা রোপণ ও পরিচর্যার বিষয়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে লিচু গাছে হরমুন ¯েপ্র করার কাজ চলছে। গাছে আসা মুকুল ফলে পরিণত করতে হরমুন কাজ করে। এতে অকালে মুকুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে কম। সঠিকভাবে হরমুন ¯েপ্র ও পরিচর্যা করলে এ বছর অধিক সংখ্যক লিচু উৎপাদন সম্ভব হবে।