কাজিরবাজার ডেস্ক :
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা। অজ্ঞাত স্থান থেকেই তারা দিচ্ছেন নির্দেশনা। দলের কর্মী-সমর্থকরা আসছেন না দলীয় কার্যালয়েও।
বিক্ষোভ মিছিল বা হরতালের মতো কর্মসূচির ডাক নেতাদের নামে বিবৃতি আকারেই যাচ্ছে গণমাধ্যমে। পুলিশের কঠোর নজরদারি এবং অভিযানের মুখেও নেতারা কীভাবে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা এখন প্রশ্ন খোদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেই।
নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেন আপনারা?- জানতে চাইলে জামায়াতের এক কর্মী জানান, প্রত্যোক নেতার কাছে অনেকগুলো সিম আছে যেগুলোর একটাও তাদের নামে কেনা না। আড়িপাড়া এড়াতে একবার ফোন করেই সিম পাল্টে ফেলা হয়। এ ছাড়া ফেইসবুক, টুইটারে ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলেও যোগাযোগ করেন নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে জামায়াত ইসলামের প্রেস রিলিজ পাঠাচ্ছেন জামায়াত ইসলামের ঢাকা মহানগরের প্রচার সহকারী এম আলাউদ্দিন আরমান। ছাত্র শিবিরের প্রেস রিলিজ পাঠাচ্ছেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন। তবে বর্তমানে তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে এই দুই কর্মী বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ইমেইল আইডি সংগ্রহ করেন। ওই ঠিকানাতেই তারা তাদের বিভিন্ন সাংগঠনিক বিবৃতি পাঠাচ্ছেন।
ফেইসবুকে বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন পেজ খুলেও ইনবক্সে যোগাযোগ রক্ষার কথা জানিয়েছেন কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে একজন অন্যদেরকে প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার পদমর্যদার এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কোনও লোক যদি মোবাইলে কাউকে হুমকি দেওয়ার পরে ওই ফোনটি বন্ধ করে দেয় তাহলে পুলিশের কী করণীয় থাকে? আবার ফেইসবুক আইডি খোলার এডমিন পরিচালিত হয় বিদেশ থেকে সেক্ষেত্রেও আমাদের কিছু করার নেই’।