পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ আর হরতালে কারণে ভরা শীত মৌসুমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পর্যটন শিল্পে ধস নেমে এসেছে। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেইক, হামহাম জলপ্রপাত সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হ্রাস পেয়েছে পর্যটকের আগমন। স্থানীয় কিছু পর্যটক ছাড়া দূর দূরান্তের পর্যটকের আগমন রয়েছে শূন্যের কৌঠায়। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা থেকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টতা এটাকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধ্বস বলে মনে করছেন। পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, লাউয়াছড়া রেষ্ট হাউস, হীড রেষ্ট হাউস সহ রিসোর্ট, ইকো-কটেজ ও আবাসিক হোটেল গুলোতে মারাত্মক ধস নেমেছে পর্যটক না আসায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাস শীত মৌসুম। এই ভরা শীতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ আর হরতালে গত এক মাস যাবত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের উপস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রতিদিন যেখানে হাজারো পর্যটক আসতেন সেখানে এখন স্থানীয় এলাকার কিছু সংখ্যক পর্যটক ছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে কোন পর্যটক লাউয়াছড়া আসতে পারচ্ছেন না। স্থানীয় বনবিভাগ প্রতিদিন টিকিট ও গাড়ী পার্কিং হতে আয় করতো ৪০/৫০ হাজার টাকা সেখানে এখন প্রতিদিন ৪/ ৫ হাজার টাকা আয় হয়। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবরোধে প্রভাব পর্যটনে পড়েছে। বেকার সময় কাটাচ্ছেন বন বিভাগের নিয়োজিত ইকো গাইডরা। তাদের আয় নেই।
ইকো গাইড আব্দুল আহাদ জানান, এই শীত মৌসুমে পর্যটকদের কাছ হতে প্রতিদিন ৪/ ৫ হাজার পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তেমন কাজ নেই। টানা অবরোধ আর হরতালে প্রায় পর্যটন শুন্য হয়ে গেছে কমলগঞ্জে। লাউয়াছড়ায় বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণে কর্মরত ‘ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস এন্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল)’ প্রজেক্ট এর সাইট অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে হরতাল, অবরোধের কারণে পর্যটকের আগমন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। গত জানুয়ারী মাসে ১ লাখ ৫৪ হাজার পনের জন পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। হরতাল, অবরোধ না হলে পর্যটকের উপস্থিতি তিন লাখ ছাড়িয়ে যেত বলে তিনি মনে করেন।