দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এক অসহায় মহিলার ঘরে আগুন, আড়াইশত মণ ধান ও ৬টি গরু লুট করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টায় উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আসামপুর নয়াহাটি গ্রামের পুরুষ শূন্য এক অসহায় মহিলার খড়ের ঘরে আগুন দিয়ে পাশের ঘরে রক্ষিত থাকা আড়াই শত মণ ধান ও ৬টি গরু নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে আসামপুর নয়াহাটি গ্রামের মোঃ সমুজ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ
নেকলুছ বিবির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুর্বৃত্তদের খড়ের ঘরে লাগানো আগুনে ঘরে রক্ষিত ৩০/৩৫ হাজার টাকা মূল্যের খড় ও খড়ের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খড়ের ঘরের পাশে গোয়াল ঘরে রক্ষিত ছিল গরু ও এর পাশের ঘরে ছিল ২শত ৫০ মন ধান। কিন্তু গোয়াল ঘরে নেই সে রক্ষিত ৬টি গরু ও পাশের ঘরে রক্ষিত ২শত ৫০ মন ধান।
আসামপুর নয়াহাটি গ্রামের মোঃ সমুজ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ নেকলুছ বিবি বলেন, আমার পরিবাবের কোন পুরুষ বাড়িতে না থাকায় আমি আমার প্রতিবেশীর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। গত শনিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমি ঘুম থেকে উটে বারান্দায় এসে দেখি খড়ের ঘরে আগুন জ্বলছে, তাৎক্ষণিক আমি চিৎকার করতে থাকলে ১০/১৫ জনে অজ্ঞাত নামা লোকজন পালিয়ে জেতে দেখি। পরে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে সময় আমার খরের ঘর সহ খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর আমি সহ লোকজন পাশের ঘরে রক্ষিত গরু ও ধান দেখতে গেলে কিছুই পাওয়া যায়নি। তখন বুঝলাম আমার ঘর দুর্বৃত্তরা লুট করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার ধান, গরু, খড় ও ঘর সহ ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে আমি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে আসামপুর গ্রামের মৃত শমছু মিয়ার ছেলে মোঃ সাজ্জাদ মিয়া, মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আশরাফ মিয়ার সাথে আলাপ কালে তারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ ঘটনা শোনে নেকলুছ বিবির বাড়িতে গিয়ে দেখেছি খড়ের ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে, পাশের ঘরে ধান ও গরু নাই। পরে নেকলুছ বিবির কাছ থেকে জানতে পারি দুর্বৃত্তরা খড়ের ঘরে আগুন দিয়ে, ধান ও গরু লুট করেছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আসামপুর নয়াহাটি গ্রামের মোঃ সমুজ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ নেকলুছ বিবি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।