সিলেটে ৬ প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ টাকা জরিমানা

9

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে পৃথক ছয়টি স্থানে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার দুপুরে নগরীর লালদিঘীরপাড়, আম্বরখানার, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড খাসদবীর ও দরগাহ গেইট এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, নগরীর লালদিঘীরপাড়স্থ আজিজ এন্টারপ্রাইজে নকল ও নিষিদ্ধ কসমেটিকস বিক্রয়, বিদেশি কসমেটিকসে আমদানি ও স্টিকারবিহীন বিক্রয়, মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করায় ৫০ হাজার টাকা এবং পোড়া তেল ও টেক্সটাইল রং ব্যবহার করে খাবার প্রস্তুতকরণসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুতের দায়ে আম্বরখানার খাসদবীর এলাকার সুরুচি ফুডসে ২৫ হাজার টাকা ও দরগা গেইট এলাকার সিলেটি রেস্টুরেন্টকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফ মিয়া, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৈয়দ সরফরাজ হোসেনসহ র‌্যাব-৯ এর একটি টিম। এসময় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এদিকে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নকল বাওমা কয়েল বিক্রির অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট নগরী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে।
জানা যায়, জনপ্রিয় বাওমা কয়েলের ট্রেডমার্ক নকল করে ‘সম্রাট চায়না কয়েল’ ও ‘ড্রিম এঞ্জেল’ নাম দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। খবর পেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের কর্মকর্তারা ও র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি টিম নগরের আম্বরখানা এলাকার ‘হাসান স্টোর’কে ৩ হাজার টাকা, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডের ‘ফ্যামিলি বাজার’কে আড়াই হাজার টাকা ও লালদিঘিরপাড় ‘মেসার্স জহির স্টোর’কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে। অভিযানে বিভিন্ন নামে প্রায় ২শ’ প্যাকেট নকল বাওমা কয়েল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে অভিযানে সহায়তা করে র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি টিম।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা ভোক্তাদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। যারা ভেজাল পণ্য দিয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। নিয়মিত এমন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অভিযানের সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়।